সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর ইস্যুতে প্রতিবাদ করতে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ফাটল আগেই স্পষ্ট হয়েছে। গত সপ্তাহে আলাদা সংগঠন গড়ে তুলেছে জুনিয়রদের একাংশ। আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠা অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদারদের জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টকে চ্যালেঞ্জ করে পালটা জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তৈরি করেছেন শ্রীশ চক্রবর্তী, প্রণয় মাইতিরা। তাঁদের অভিযোগ, অভয়ার বিচারের নামে জন আবেগে সুড়সুড়ি দিয়ে আসলে টাকা তুলছে ফ্রন্ট। সেই অর্থ অডিটের দাবির পাশাপাশি এবার অনিকেতদের নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। তাদের দাবি, তহবিলের ৪ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হোক নির্যাতিতার পরিবারকে। তাঁর মা-বাবার তত্বাবধানে থাকুক তহবিলের সমস্ত অর্থ।
শুক্রবার জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম আহ্বায়ক শ্রীশ চক্রবর্তী ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘‘জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট অভয়া তহবিলের নামে যে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা তুলেছে, তা অভয়ার বাবা-মায়ের হেফাজতে রাখা হোক। আইনি কাজ কিংবা সমাজসেবামূলক কোনও কাজে যে খরচ লাগবে, তা তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়েই করা হোক।’’ সূত্রের খবর, অভয়া তহবিলের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফ্রন্টের সদস্যরা তা দেখভালের জন্য একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে নিয়োগ করতে চলেছেন। এনিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক রুমেলিকা কুমারের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘মানুষ আমাদের ভরসা করে অর্থ দান করেছেন। তার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কী করণীয়, তা আমরাই ঠিক করব।”
জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের এহেন দাবির কথা শুনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি নির্যাতিতার মা-বাবা। কারণ, অ্যাসোসিয়েশনের জন্মের সময় থেকেই তাঁরা সন্দিহান। শ্রীশ চক্রবর্তীদের উদ্দেশে অভয়ার মায়ের আক্ষেপসূচক মন্তব্য ছিল, ”যারা থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত, তারাই আবার আলাদা সংগঠন করে বিচার চাইছে!” শ্রীশদের সংগঠন নিয়ে অনেকেই এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বরং অনিকেত, দেবাশিসদের লড়াই অনেকের কাছেই নিখাদ, নির্মল। ফলে বিচারের দাবিতে দুই সংগঠনের কার ভূমিকা ঠিক কী, তা অনেকটাই স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.