সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুনিয়র ডাক্তার বনাম জুনিয়র ডাক্তার! থ্রেট কালচারের পালটা টাকা তোলার অভিযোগ! আর জি কর ইস্যুতে প্রেক্ষাপটে এবার আন্দোলনকারীরাই আড়াআড়ি বিভক্ত! জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের কিঞ্জল-অনিকেত-দেবাশিস-রুমেলিকাদের বিরুদ্ধে এবার ‘অভয়া’র নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্ফোরক দাবি করলেন জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের শ্রীশ-সৌরভ-অতনু-আনসারুলরা। পালটা কিঞ্জল-দেবাশিসদের কটাক্ষ, ভুইফোঁড় সংগঠন। মানুষকে এবার পক্ষ নিতে হবে।
এদিন আর জি করে যখন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের কিঞ্জল-অনিকেত-দেবাশিস-রুমেলিকারা ‘অভয়া’র সুবিচারের দাবিতে সুর চড়াচ্ছেন, গণ কনভেনশনে রাজপথ না ছাড়ার ডাক দিচ্ছেন, ঠিক তখন কলকাতা প্রেস ক্লাব থেকে পালটা তোপ দাগছে শ্রীশ-সৌরভ-অতনু-আনসারুলরা। জুনিয়র চিকিৎসক শ্রীশের প্রশ্ন, “আমাদের ক্রিমিনাল বলা হয়। অভয়ার দিদির নামে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। রিয়া বেরার নামে টাকা তুলছে। তারা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নন?” উল্লেখ্য, শ্রীশ-সৌরভ-অতনু-আনসারুলদের বিরুদ্ধেই ‘থ্রেট কালচার’ বা হুমকি সংস্কৃতির অভিযোগ রয়েছে। যে অভিয়োগ করেছেন কিঞ্জল-অনিকেত-দেবাশিস-রুমেলিকা ও তাঁদের সহযোদ্ধারা। তবে অভিযুক্তরা পালটা দাবি করছেন, “আমাদের ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য লেগে পড়ে। কলেজ কর্তৃপক্ষকে প্রেসার দিয়ে আমাদের হস্টেল থেকে সাসপেন্ড করা হয়। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়। এটাকে থ্রেট কালচার না, টেরর কালচার বলছি। আমাদের টেরর করা হয়েছে।” জুনিয়র চিকিৎসক ডা. সৌরভ বলেন, “আমাদের মধ্যে সকলেই থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত এমন নয়। আমরাই থ্রেট কালচারের শিকার! যখন মতামত মিলছে না। গলার কাঁটা হচ্ছে, প্রত্যেক কলেজে থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হল। বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে কলেজকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে।”
পালটা তোপ দেগে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের ডা. কিঞ্জল নন্দ বলেন, “আজ যখন আমাদের এখানে গণ কনভেশন চলছে তখন নাকি নতুন একটা সংগঠন তৈরি হয়েছে। ভুইফোঁড় সংগঠন।” তাঁর আরও দাবি, “আমরা জানছি, থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল যাঁরা। যাঁরা নটোরিয়াস ক্রিমিনাল, শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে সংগঠন চালায় তাঁরা এখন প্রেস বাইট করছে।” প্রশ্ন, “এতদিন সামনে আসেনি কেন?” এ প্রসঙ্গে অবশ্য ডা. শ্রীশ দাবি করেছেন, তাঁরাই প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলেন। বলেন,”আমরা বলেছিলাম, রোগী পরিষেবা আগে দেব। আমাদের ব্যান করে দেওয়া হয়। কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থপরতা নিয়ে কর্মবিরতির দিকে এগিয়ে যায়।” পালটা ডা. কিঞ্জল নন্দ বলেন, “মানুষের কাছে সময় এসেছে পক্ষ নেওয়ার। তাঁরা আসলে কাদের পক্ষে আছেন সেটা ভেবে দেখতে হবে। তাঁরা প্রতিবাদ, ন্যায়, বিচারের পক্ষে আছেন, নাকি থ্রেট কালচারের পক্ষ, সেটাই ভাবতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.