অর্ণব আইচ: বাবার সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে বলতেই ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক ছাত্র। সুজন সামন্ত নামে ওই পড়ুয়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধে নাগাদ হস্টেলের নবম তলা ঝাঁপ দিয়েছেন তিনি। বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী কারণে আত্মঘাতী হলেন তিনি, তা খতিয়ে দেখছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
আদতে আসানসোলের ছাত্র সুজন সামন্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি হওয়ার পর থেকে গড়ফা এলাকার প্রতাপগড়ের হস্টেলে থাকতেন। আজ সন্ধেবেলাই ভিডিও কল করে বাবার সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। জানান যে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন। আর বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই। একথা বলামাত্রই সুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তী হস্টেলের নবম তলা থেকে ঝাঁপ দেন। এমনকী বাবা সুজয় সামন্ত ছেলেকে বাধা দেওয়ারও কোনও সুযোগ পাননি বলেও জানিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে খবর, এখানে পড়তে আসার পর থেকে একটু অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন সুজন। এর আগে দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। তারপর পরিবারের সদস্যরাও তাঁকে বোঝান। মন দিয়ে পড়াশোনা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তারপরও কোনও লাভ হয়নি, আজকের ঘটনাই তার প্রমাণ। একেবারে বাবাকে জানিয়েই সুজন আত্মঘাতী হলেন। এতে বাবা সুজয় সামন্ত আরও বেশি ভেঙে পড়েছেন। সবটা জানা সত্ত্বেও ছেলেকে বাঁচাতে পারলেন না, এ নিয়ে বারবারই আক্ষেপ করছেন তিনি।
কিন্তু ঠিক কী কারণে সুজন মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন, যাতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল তাঁকে, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পরিবার এবং পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আসানসোল থেকে কলকাতায় আসছেন পরিবারের সদস্যরা। মানতেই পারছেন না যে ছেলের নিথর দেহ দেখতে হবে তাঁদের। তদন্তে নেমে সুজনের সহপাঠী এবং রুমমেটদেরও জিজ্ঞাসাবাদের কথা ভাবছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.