রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শাহের সুরেই বঙ্গ বিজেপিকে (BJP) মাঠে নেমে লড়াই করার বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। তাঁর স্পষ্ট কথা, মাঠে নেমে লড়াই করতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এসে ভোটে জিতিয়ে দিয়ে যাবে না। কথায় কথায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত, রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করতে চলবে না। সবমিলিয়ে বুধবার দলীয় কর্মীদের আরও একবার নিষ্ক্রিয়তা কাটিয়ে মাঠে নামার দাওয়াই দিলেন নাড্ডা।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। দলের অন্দরে অবিশ্বাসের বাতাবারণ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার গেরুয়া শিবির। পাহাড়ের জিটিএ আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে পরপর বঙ্গ সফর সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং নাড্ডা। দুজনের সুরই এক। রাষ্ট্রপতি শাসন নয়, গণতান্ত্রিক উপায়ে তৃণমূলকে বাংলা থেকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে। আর তার জন্য প্রয়োজন সংগঠন। মানুষের কাছে পৌঁছনো। হাত গুটিয়ে ঠান্ডা ঘরে বসে থাকার পরিবর্তে পদ্ম শিবিরের কর্মীদের রাস্তায় নাার নির্দেশ দিলেন সর্বভারতীয় সভাপতি। একের পর সাংসদ-বিধায়ক-নেতাদের দলত্যাগের জেরে কিছুটা হতাশ দলীয় কর্মীরা। তাঁদের চাঙ্গা করতে নাড্ডা উবাচ, “রাজনীতিতে কোনও দিনই থেমে থাকে না, কী ভাবে আমরা এগিয়ে যাবও। সেটা দেখতে হবে।”
মঙ্গলবার রাতে নিউটাউনের হোটেলে আড্ডার মেজাজেও একই বার্তা দিয়েছিলেন সুকান্ত-দিলীপ-লকেট-শুভেন্দুদের। দলীয় কর্মীদের সভাতেও একই মন্ত্র দিলেন নাড্ডা। একইসঙ্গে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের বিরুদ্ধেও তোপ দাগলেন তিনি। নাড্ডার কটাক্ষ, “তৃণমূল সরকার কাটমানির সরকার। সব স্থানীয় দল পারিবারিক দলে পরিণত হয়েছে। পিসি আর ভাইপোর দল তৃণমূল।” একইসঙ্গে কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা না দেওয়া প্রসঙ্গে পালটা রাজ্যকেই দুষলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না। পালটা এদিন নাড্ডার অভিযোগ করেন। তাঁর কথায়, “৩ বছর ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকার কেন্দ্রীয় সরকারকে দেয়নি রাজ্য। ৫৯ লক্ষ কোটি টাকা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দেয়নি। ১০ বছর ধরে রাজ্য সরকার আয়কর দেয়নি।” এই সমস্ত ইস্যুতে দলের কর্মীদের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পরামর্শ দিয়েছেন নাড্ডা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.