সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘনঘন চায়ে চুমুক আর সুযোগ পেলেই সিগারেটে সুখটান (যদিও দীর্ঘদিন ধরে সিওপিডি-র রোগী)! ‘কেমন আছ’ জিজ্ঞেস করলেই, এক গাল হাসি। গল্প শুরু করলে বোঝা যেত, সংবাদ প্রতিদিনের সকলের প্রিয় শংকরদার জ্ঞানের ভাণ্ডার ঠিক কতটা গভীর। পোশাকি নাম শংকর ভট্টাচার্য। জেলা ডেস্কের সিনিয়র সাংবাদিক। জেলার বাম রাজনীতি থেকে দক্ষিণী সিংহাসনের পালাবদল, সবটাই নখদর্পণে তাঁর। বছরে বেশ কয়েকবার ছুটি নিয়ে অচেনা-কে চেনার উদ্দেশে ভিন দেশ, ভিন রাজ্যে পাড়ি দিতেন। মঙ্গলবার সকালে ফের একবার বেরিয়ে পড়লেন তিনি। তবে এবার অচিনপুরের উদ্দেশে। তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকাহত ‘সংবাদ প্রতিদিন’ পরিবার।
গড়িয়ায় বাড়ির দু’তলায় একাই থাকতেন ‘শংকরদা’। উপরের তলায় থাকতেন নবতিপর বাবা এবং একতলায় অবিবাহিতা বোন। সোমবারও রোজকার মতো আড্ডা মেরেছেন বন্ধুদের সঙ্গে। ডাক্তারও দেখিয়েছেন। পরিবার সূত্রে খবর, আজ সকাল সাতটার সময় ঘুম থেকে উঠেছিলেন। রোজকার মতো এদিনও বাড়ির কাজের সহায়িকা ‘দিদি’ এসেছিলেন। সকাল সাতটায় চা-ও পান করেছিলেন। ‘দিদি’কে বলেছিলেন পাখার স্পিড আরেকটু বাড়িয়ে দিতে। তারপর ‘দিদি’ অন্য কাজে চলে যান। সকাল দশটা নাগাদ আবার যখন ‘দিদি’ তাঁর ঘরে আসেন, দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছেন শংকর। রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। তাঁর বোনকে খবর দেওয়া হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর।
ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে একাধিক শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে আসেন। কয়েকদিন পর অফিসে জয়েন করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই অফিস, পরিবার, বন্ধুদের চিরবিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশের দিকে রওনা দিলেন তিনি। অফিসের বর্ষীয়ান সাংবাদিকের শেষযাত্রায় সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর সহকর্মীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.