অর্ণব আইচ: সরকারি অফিসারের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠল পিএইচডি-র এর ছাত্রীর বিরুদ্ধে। সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে নীলবাতি লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়াতেন বলেও অভিযোগ। বাঁশদ্রোণির বাসিন্দা সত্যব্রত বসুরায়ের তরফে এই অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। তা জানতে পেরে আবার ওই যুবককে হুমকিও দেয় অভিযুক্ত। তার খোঁজে চলছে তল্লাশি। নীলবাতি লাগানো গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রিজেন্ট পার্কের বাসিন্দা বছর তেইশের যুবক সত্যব্রত বসুরায়। অসমের গুয়াহাটির বছর সাতচল্লিশের অচিরা যাদবের সঙ্গে আলাপ হয়। অচিরা নিজেকে গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিক বলে পরিচয় দেন। সত্যব্রতকে তিনি আশ্বাস দেন, সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেন। বদলে ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন। তাঁর উপর ভরসা করে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন সত্যব্রত। কিন্তু দীর্ঘদিন পরও কাজের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় সত্যব্রত বাধ্য হয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, অচিরা যাদবের প্রয়াত স্বামী মহেন্দ্র প্রসাদ যাদব ছিলেন শুল্ক দপ্তেরর অফিসার। কসবা এবং হলদিয়ায় ছিল তাঁর অফিস। ২০১৭ সাল থেকে স্বামীর সঙ্গে কসবায় শুল্ক দপ্তরের আবাসনেই থাকতেন অচিরা। মহেন্দ্র প্রসাদের মৃত্যুর পর পূর্ব যাদবপুরের পূর্বালোকে দুই পরিচারিকাকে নিয়ে থাকেন অসমের ওই মহিলা। একটি দামি গাড়ি তিনি ব্যবহার করেন। যাতে নীলবাতি আছে এবং সামনে কেন্দ্রীয় সরকারের স্টিকার লাগানো। এভাবে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে গাড়ি ব্যবহার করা বেআইনি। ওই গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন যে অচিরা একজন মেধাবী ছাত্রী। গুয়াহাটিতে পড়াশোনার পর এইম মুহূর্তে তিনি দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন। যার বিষয়, বিশ্ব সন্ত্রাস।
এরপর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, বুঝতে পেরে সত্যব্রতকে হুমকি দেন অচিরা। অভিযোগ, অচিরা তাঁকে বলেন, এসব হলে তিনিও শেষ দেখে নেবেন। কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সত্যব্রত। ফের পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে তিনি আতঙ্কের কথা প্রকাশ করেন। এই মুহূর্তে অচিরা যাদবকে গ্রেপ্তারের অপেক্ষায় রয়েছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.