বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পাওয়ার পর প্রথমবার মুখ থুললেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তাঁকে বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “সত্যের জয় হয়েছে।” গোটা দেশজুড়ে চলা লোকসভা ভোট নিয়েও মন্তব্য করেন বড়ঞার বিধায়ক। বলেন, “ভোট ভালো হচ্ছে।”
২০২৩ সালের এপ্রিলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার (Jiban Krishna Saha) বাড়িতে তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। এই দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া মিডলম্যানদের সঙ্গে বিধায়কের যোগাযোগ এবং আদানপ্রদানের অভিযোগে এই তল্লাশি। বড়ঞার আন্দি গ্রামে তাঁর বাড়িতে টানা ৭২ ঘণ্টা অভিযান চলাকালীন নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA)। পরে সন্ধে নাগাদ বাড়ির পিছনদিকের পুকুর ছেঁচে একটি মোবাইল উদ্ধার করেন বিশেষজ্ঞ তদন্তকারীরা। অপরটি তখনও পাওয়া যায়নি। সিবিআইয়ের দাবি, তথ্য লোপাট করতে মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলেছেন। টানা জেরার মুখে ভেঙে পড়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। পরেরদিন ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারও পরে দ্বিতীয় মোবাইল উদ্ধার হয়। বিধায়কের সঙ্গে মিডলম্যানদের কথোপকথন সংক্রান্ত তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের।
গ্রেপ্তার হওয়ার ৬ মাস পর জীবনকৃষ্ণ সাহা সোজা দেশের শীর্ষ আদালতে জামিনের আবেদন জানান। ৬ মাস ধরে জেলবন্দি থাকলেও তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। এই যুক্তিতে জামিনের (Bail) আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের (CBI) রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। পিছতে থাকে শুনানিও। জীবনকৃষ্ণ আবেদনে জানিয়েছিলেন, দুর্নীতিতে ধৃত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসন্ন সিনহারা জামিন পেলে তিনি কেন নন? শেষমেশ আবেদনের সাত মাসের মাথায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান জীবনকৃষ্ণ সাহা। বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় তাঁকে। “সত্যের জয় হয়েছে”, বলেই দাবি করেন বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.