ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মাছের ওজনে কোথাও কারচুপি নেই। প্রথমে মাছ কেটে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে নেওয়া হয়। অভ্যাসমতো হাতের মাপেই কাটা হয়। কাঁটায় কাঁটায় ৭৫ গ্রাম মেপে তার পর আঁশ ছাড়ানো হয়। তাতেই ওজন যা কমার কমে। কিন্তু জেলের কয়েদিদের খাদ্যতালিকায় মাছের ওজনে কোথাও ফাঁক নেই, সাফ জানিয়ে দিলেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি (Akhil Giri)।
প্রসঙ্গটা উঠেছিল আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির অভিযোগের ভিত্তিতে। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন জেলের কয়েদিদের মেনুতে পর্যাপ্ত পুষ্টিগুণ থাকে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। নিজের দেড় মাস জেলে থাকার অভিজ্ঞতার কথা তুলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, “এত পাতলা মাছ কাটা হয় যে, তা কাটতে গিয়ে হাত কেটে যেতে পারে।” তারই জবাব দিলেন কারামন্ত্রী। বললেন, “নওশাদ ঠিক বলেননি। আমি খোঁজ নিয়েছি।” নওশাদের অভিযোগ শুনে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়েই প্রথমে জবাব দিয়েছিলেন মন্ত্রী। পরে অধিবেশন কক্ষ থেকে বেরিয়েও খোঁজ নেন। নওশাদ বন্দি ছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রশ্নোত্তরপর্বের দিন জবাবি ভাষণ শেষে বেরিয়ে প্রেসিডেন্সির জেল সুপারের সঙ্গেই সরাসরি কথা বলেন কারামন্ত্রী।
অখিল গিরির কথায়, “আমি সেদিন হাউস থেকে বেরিয়েই খোঁজ নিয়েছিলাম। কোথাও কোনও গোলমাল নেই। মাছের গায় আঁশ না থাকলে তখন তো তার ওজন কিছুটা কমবেই।” জেলের খাবারের মেনুতে প্রতিদিন কী থাকে? বিধানসভায় মন্ত্রীর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী থাকার কথা ২৫০ গ্রাম চাল, ১০০ গ্রাম ডাল, ৩০০ গ্রাম সবজি। সঙ্গে ১০০ গ্রাম আলু দেওয়া হয়। সপ্তাহে একদিন করে ৭৫ গ্রাম মাছ, সমপরিমাণ মাংস, একটা ডিম ও ২৫ গ্রাম সয়াবিন দেওয়া হয়। বিকেলে চায়ের সঙ্গে দেওয়া হয় চারটে বিস্কুট। টিফিনে মুড়ির সঙ্গে থাকে বাদাম ও ডালভাজা। নিরামিষাশীদের জন্য থাকে ২৫০ মিলিলিটার দুধ দেওয়ার ব্যবস্থা। মন্ত্রীর সংযোজন, “কোথাও এতটুকু কিছু কম দেওয়া হয় না। জেলের নিয়ম অনুযায়ী যেদিন যে খাদ্যতালিকায় যা যা থাকার কথা, তার সবটাই হিসাবমতো থাকে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.