সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে তরজায় জড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল। জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সেই বিতর্ককে বোতলবন্দি করে দিয়েছেন বলেই সাংবাদিক বৈঠকে দাবি রাজ্যপালের। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেই জানান ধনকড়।
সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। যা নিয়ে ফের রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের সূত্রপাত। সেখানে তিনি বলেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ৯-এ ধারার এক নম্বর উপধারার আইন মেনে তিনি অধ্যাপক চন্দ্রকে সহ-উপাচার্য পদে বসিয়েছেন। যাঁর মেয়াদ হবে চার বছর অথবা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত। তবে রাজ্যপালের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল আর শিক্ষা দপ্তরের সূক্ষ্ণ লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দপ্তরই। জগদীপ ধনকড়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে পছন্দমতো ব্যক্তিকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য পদে নিয়োগ করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দপ্তর। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন অধ্যাপক আশিস পাণিগ্রাহি।
সাংবাদিক বৈঠকে এই বিতর্ক নিয়েই মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। ধনকড় বলেন, “এখন শিক্ষাক্ষেত্রে বিতর্কের সময় নয়। এই ধরনের বিতর্ক পড়ুয়াদের উপকারে আসবে না। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমিও মনে করি এ ধরনের বিতর্ক অবাঞ্ছিত। সকালে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলোচনা করতে চাই। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আলোচনা করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন। এমন একটা প্রক্রিয়া তৈরি করতে চাই যাতে উপাচার্যরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। সহ উপাচার্য বিতর্ককে আমি বোতলবন্দি করে দিয়েছি। পুরো বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর বিবেকের উপর ছেড়ে দিয়েছি।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবার রাজ্যের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তবে বুধবার কিছুটা হলেও সুর বদল করেছেন তিনি। রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কোভিড ১৯, পরিযায়ী শ্রমিক এবং আমফান নিয়ে রাজ্য বিব্রত। আমফানে রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য এখন কঠিন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যবাসীর জন্য ভাবা আমার সাংবিধানিক কর্তব্য। রাজ্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমি কাজ করতে চাই। এই সংকটে রাজ্য-কেন্দ্রকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখন সম্প্রীতি রক্ষা করে চলতে হবে।” রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে গত ১৫ দিনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনবার ফোনে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সকলকে রাজ্যের তহবিলে অর্থ সাহায্য করার আবেদনও জানান রাজ্যপাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.