ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অসুস্থতার কারণে সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে গরহাজির কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় অত্যন্ত বিরক্ত আচার্য তথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ‘আমি আসলে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন’, কটাক্ষের সুর ধনকড়ের গলায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উপাচার্যের উপস্থিতি নিয়ে বিরোধিতার সুর চড়িয়েছিলেন একাংশ পড়ুয়া। এবার জটিলতা তৈরি হয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে। আগামী ২৮ জানুয়ারি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল উপস্থিত থাকলে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা। তবে তারই মাঝে একেবারে বিপরীত ছবি দেখা গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আচার্য জগদীপ ধনকড়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে বেজায় খুশি তিনি। এদিন রাজ্যের অন্যান্য সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পরোক্ষে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে এসে আমি সম্মানিত। এমন কোথাও দেখিনি। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচিত এদের দেখে শেখা। এটাকে বলে কোয়ালিটি এডুকেশন। যেমন শিক্ষা তেমন আচার ব্যবহার। আমি অভিভূত।”
সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে উপস্থিত থাকার কথা ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে এদিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। কিন্তু কেন অনুষ্ঠানে থাকলেন না উপাচার্য? তাঁর দাবি, অসুস্থতার কারণেই সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। তবে উপাচার্যের অসুস্থতা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তাঁকে কটাক্ষ করে জগদীপ ধনকড় বলেন, “কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুনলাম অসুস্থ। আসতে পারেননি। এরকম মাঝেমধ্যেই হয়। আমি যেখানেই যাই। কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। উনি দ্রুত সুস্থ হোন কামনা করি।”
যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শুধুমাত্র অসুস্থতার কারণে জেভিয়ার্সের সমাবর্তনে উপস্থিত থাকতে পারেননি তা মানতে পারছে না ওয়াকিবহাল মহল। অনেকেই বলছেন, আচার্যের ক্ষমতা খর্বের বিল পেশের পর থেকেই রাজ্যপালের মুখোমুখি হচ্ছেন না কোনও উপাচার্যই। গত সোমবার রাজভবনের বৈঠকেও বিনা নোটিসেই অনুপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তাই হয়তো সেন্ট জেভিয়ার্সের সমাবর্তনেও এক মঞ্চে দেখা মিলল না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.