ফাইল ছবি
দীপংকর মণ্ডল: অচলাবস্থা কাটল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে৷ পড়ুয়াদের দাবি মেনে কলা বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষাই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ তবে শুধু প্রবেশিকা পরীক্ষাই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর ও বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরও দেখা হবে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বোর্ডের পরীক্ষার ৫০ শতাংশ ও প্রবেশিকার পরীক্ষার ৫০ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে৷ পরীক্ষা পরিচালনা করবে অ্যাডমিশন কমিটি৷ বোর্ড স্টাডিজের কোনও ভূমিকা থাকবে না৷ পরীক্ষা দিনক্ষণ জানানো হবে বৃহস্পতিবার৷ এদিন নজিরবিহীনভাবে পড়ুয়াদের ঘেরাও আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করেন সহ-উপাচার্য৷
[স্থগিত ভরতির পরীক্ষা, ফের রাতভর ঘেরাও যাদবপুরের উপাচার্য]
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভরতির জন্য শুধুমাত্র বোর্ডের পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরই যথেষ্ট নয়৷ প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করে কলা বিভাগে ভরতি হতে হয় পড়ুয়াদের৷ ব্যতিক্রম বাংলা ও ইতিহাস৷ এই দুটি বিষয়ে পড়ুয়াদের কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় না৷ এবছর কলা বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ৩ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত৷ কিন্তু, সোমবার আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ জারি করা হয় নোটিসও৷ আর এতেই ক্ষুব্ধ হন পড়ুয়ারা৷ সোমবার দুপুর থেকে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের ঘরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন পড়েন কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সদস্যরা৷ রাতভর ঘেরাও করে রাখা হয় উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ইসি সদস্যদের৷ বুধবার বৈঠকে বসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিউ কাউন্সিলের সদস্যরা৷ বৈঠকের পর সহ উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ জানান, এবছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়েই প্রবেশিকা পরীক্ষা হবে৷ তবে বোর্ড অফ স্টাডিজ নয়, প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিচালনা করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন কমিটি৷ বৃহস্পতিবার পরীক্ষা দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে৷
বোর্ডের পরীক্ষায় যত কম নম্বরই থাকুক না কেন, এতদিন প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাস করলেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগের ভরতি হওয়া যেত৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, এবছর তুলনামূলক সাহিত্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাসের ক্ষেত্রে বোর্ডে পরীক্ষা মোট প্রাপ্ত নম্বর ৫০ শতাংশ ও প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে৷ বাংলা অনার্সের ক্ষেত্রে আবার প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৫০ শতাংশের সঙ্গে যোগ হবে বোর্ডের পরীক্ষা শুধুমাত্র বাংলা ও ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ৷ আর যাঁরা ইংরেজিতে অনার্স পড়তে চান, তাঁদের ক্ষেত্রে বোর্ডের পরীক্ষায় শুধু ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৫০ শতাংশ ও প্রবেশিকা পরীক্ষায় ৫০ শতাংশের ভিত্তিতে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে৷ তবে আন্দোলনে নামের ক্যাম্পাসের অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টার কড়া সমালোচনা করেছেন যাদবপুরের সহ-উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ৷ যা নজীরবিহীন৷ এরআগেও বিভিন্ন ইস্যুতে ছাত্র বিক্ষোভে উ্ত্তাল হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়৷ রাতভর ঘেরাও থেকেছেন উপাচার্য৷ কিন্তু, কখনওই পড়ুয়াদের আন্দোলন বা ঘেরাও কর্মসূচির সমালোচনা করেনি কর্তৃপক্ষ৷
[চিবিয়ে খেতে হয়েছে ট্যাবলেট! মাকে জল দেয়নি হাসপাতাল, কমিশনে মেয়ে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.