ফাইল ছবি
দীপঙ্কর মণ্ডল: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের কলা বিভাগের গুটিকয় বিষয়ে ভরতি দুর্নীতি প্রকাশ্যে এল। বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের একটি অংশের দাবি মেনে কয়েকটি বিষয়ে প্রবেশিকা চালু রাখে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ইতিহাস, ইংরেজি-সহ ছয়টি বিষয়ে ভর্তি হওয়ার কথা। বুধবার কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন উপাচার্যকে স্মারকলিপি প্রদান করে। উচ্চমাধ্যমিকস্তরে ভাল ফল করলেও প্রবেশিকায় কীভাবে ১০-এর চেয়েও কম নম্বর আসে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
[যুবকের পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে রড, জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য ন্যাশনাল মেডিক্যালে]
জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিকে ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পাওয়া কিছু ছাত্রছাত্রী ইতিহাসের প্রবেশিকায় শূন্য পেয়েছেন। কেউ কেউ পেয়েছেন ১-২ নম্বর। এই হাস্যকর মূল্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শিক্ষক সংগঠন অ্যাবুটার যাদবপুর শাখার আহ্বায়ক গৌতম মাইতি উপাচার্যকে স্মারকলিপি পেশ করার পর বলেন, “ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকরা প্রবেশিকায় প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমাদের উদ্বেগের কথা উপাচার্যকে জানিয়েছি। উত্তরপত্রের পুনমূর্ল্যায়ন করা দরকার।”
[স্ক্রুটিনির পর বদলে গেল ৭ হাজার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ফল]
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ইতিহাসের উত্তরপত্র ফের মূল্যায়ন করা হবে। বৃহস্পতিবার ইতিহাসে ভরতি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। অন্য বিষয়গুলির উত্তরপত্রের নম্বর যোগে কোনও ভূল আছে কি না তা এদিন রাতেই খতিয়ে দেখা হয়। ভরতিতে প্রবেশিকার দাবিতে কয়েকজন পড়ুয়া অনশনে বসেছিলেন। এদিন ফের কয়েকজন ধরনা শুরু করেন। শিক্ষকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি গোপন থাকেনি। এক শিক্ষক এ প্রসঙ্গে বলেন, “কয়েকটি বিষয়ে যে সীমাহীন দুর্নীতি হত তা প্রকাশ্যে এসেছে। তা ঢাকা দিতেই ফের পড়ুয়াদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” ইতিহাস বিভাগে ভর্তির জটিলতা ইস্যুতে উপাচার্যের ঘরের সামনে অবস্থানে বসেন পড়ুয়ারা। ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে ইস্তফা দেন ইতিহাস বিভাগের প্রধান। যার জেরে বিজ্ঞপ্তি তালিকা প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার ফের নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। এরপরেই ঘেরাও তোলেন পড়ুয়ারা। ১০ ঘণ্টা পর ওঠে পড়ুয়াদের অবস্থান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.