অর্ণব আইচ: ফের নতুন করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ছক। নতুন মডিউল তৈরির লক্ষ্য নিয়ে ফের কলকাতার বুকে সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন (JMB)। আর তাদের সঙ্গে গভীর যোগাযোগ রয়েছে বিশ্বত্রাস আইসিসের (ISIS)। বেহালা থেকে ৩ জেএমবি জঙ্গিকে জালে আনার পর এমনই ইঙ্গিত মিলছে বলে মত এসটিএফের আধিকারিকদের। তিনজনের নাম-পরিচয় প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁরা। ধৃত নাজিউর রহমান ওরফে জোসেফই মূল পাণ্ডা। তার সহযোগীর রবিউল ইসলাম এবং শেখ সাবির ওরফে মিকাইল খান। এরা বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, এদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এসটিএফ।
এসটিএফ (STF) সূত্রে খবর, এদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ডায়েরি, জেহাদি বইপত্র, মোবাইল। সমস্ত খতিয়ে দেখে জেএমবি-র অন্যতম শীর্ষ নেতা আল আমিনের সঙ্গে এদের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাজিউর ওরফে জোসেফই মূল সংযোগকারী। আল আমিনের সঙ্গে সে-ই যোগাযোগ রাখত, তার নির্দেশমতো কাজ করত। বাংলাদেশ গার্ডসের হয়েও কাজ করত সে। শেখ সাবিরের কাজ ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় জেহাদি প্রচার। সম্ভবত কোনও ষড়যন্ত্রের ছক কষেই তাদের কলকাতায় আগমন। এছাড়া তিনজনের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সামগ্রী দেখে এসটিএফের আন্দাজ, আইসিসের সঙ্গেও যোগ রয়েছে এই নব্য জেএমবি সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, এই তিনজন হরিদেবপুর (Haridevpur PS) থানা এলাকার অন্তর্গত বেহালায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল মাস দুয়ের আগে। উপার্জনের জন্য ফল বিক্রি করত। কারও কোনও সন্দেহ হয়নি। নিজেদের ভুয়ো নাম, পরিচয়ও দিয়েছিল এলাকায়।এসটিএফের তদন্তে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্যই উঠে এসেছে। সম্প্রতি এসটিএফের কাছে খবর আসে, কলকাতায় ফের জেএমবি-র স্লিপার সেলের আনাগোনা বাড়ছে। তাতেই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের নজরদারি বাড়ে। শেষমেশ জালে আসে ২২-২৩ বছরের তিন বাংলাদেশি। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, কলকাতাকে কেন্দ্র করে নতুন কোনও মডিউল তৈরির চেষ্টা করছিল এরা। সোমবার আদালতে পেশ করা হবে নাজিউর, রবিউল, সাবিরকে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের বিস্তারিত তথ্য জানতে মরিয়া এসটিএফ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.