Advertisement
Advertisement

Breaking News

Durga Puja

Durga Puja: স্ত্রীলোকের বেশে এসেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ, রানি রাসমণির পুজোর পরতে পরতে ইতিহাস

প্রীতিরাম নির্মিত ঠাকুরদালানের প্রতিটি ইট, কাঠ, পাথরে রয়েছে ইতিহাসের ছাপ।

Interesting facts of Rani Rashmani's Durga Puja | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 14, 2023 5:27 pm
  • Updated:October 14, 2023 5:27 pm  

এই পুজোয় পদধূলি পড়েছিল স্বয়ং ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের। একবার এসেছিলেন স্ত্রীলোকের বেশে। এখনও এ বাড়ির দুর্গাপ্রতিমার মুখের রং তপ্ত কাঞ্চনবর্ণ। চালচিত্রে চণ্ডী ও পুরাণের বিভিন্ন কাহিনি। রানি রাসমণির বাড়ির পুজোর কথা লিখলেন নব্যেন্দু হাজরা।

এ বাড়িতে মা দুর্গার পুজো (Durga Puja) শুরু হয় প্রতিপদ থেকে। সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, তিনদিনই কুমারীপুজো হয়। মাকে এখানে অন্নভোগ দেওয়া হয় না। লুচি, মিষ্টি, বোঁদে ভোগ হয়। আজও পুরনো রীতি মেনে এ বাড়ির ঠাকুরদালানে বাড়ির মহিলারা প্রতিমার বাঁদিকে এবং পুরুষরা ডানদিকে দাঁড়ান। কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজো মানে সেই তালিকায় অবশ্যই থাকবে রানি রাসমণির বাড়ির পুজো। নামের সঙ্গে জড়িয়ে শ্রীরামকৃষ্ণের নানা স্মৃতি। আগে পুজোয় সাতটি পাঁঠা বলি হলেও ১৯৯২ সাল থেকে পশুবলি বন্ধ হয়। চালকুমড়ো, আখ বলি হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল’, মহালয়ায় ভারচুয়াল পুজো উদ্বোধনে পায়ের সমস্যা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]

এই পুজো রানি রাসমণির পুজো নামে পরিচিত হলেও ১৭৯৪ সালে পুজো শুরু করেছিলেন তাঁর শ্বশুর জমিদার এবং ব্যবসায়ী কৈবর্ত সম্প্রদায়ভুক্ত প্রীতিরাম মাড় (দাস)। জানবাজারের এই বাড়িটি ছাড়াও কলকাতার বেলেঘাটা, ভবানীপুর, ট্যাংরা অঞ্চলেও তাঁর অনেক বাড়ি ছিল, এ ছাড়াও সাবেক পূর্ববঙ্গে জমিদারিও ছিল। পরে পুজোটি আরও কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়। প্রীতিরামের মৃত্যুর পর জমিদারি ও পুজোর সব দায়িত্ব নেন তাঁর পুত্র রাজচন্দ্র দাস। স্বামীর মৃত্যুর পর ১৮৩৭ সাল থেকে এই পুজো করেন রানি রাসমণি। সেই থেকে এই পুজো রানি রাসমণির বাড়ির পুজো নামেই প্রতিষ্ঠা পেয়ে এসেছে। রানির কোনও পুত্রসন্তান না থাকায় জামাইরাই এই বাড়িতে ছেলের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

প্রীতিরাম নির্মিত ঠাকুরদালানের প্রতিটি ইট, কাঠ, পাথরে রয়েছে ইতিহাসের ছাপ। প্রীতিরাম মাড়ের পুজোটি হয় বর্তমান ১৩ রানি রাসমণি রোডের বাড়িতে। একবার দুর্গাপুজোর সময় রাসমণির বাড়িতে রামকৃষ্ণ এসেছিলেন মহিলার বেশে। তাঁকে দেখে কেউ চিনতেই পারেননি বলে জানা যায়। সন্ধ্যারতির সময় ‘সখীবেশ’-এ দুর্গাপ্রতিমাকে চামর দিয়ে বাতাস করছিলেন স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ। শোনা যায় পুজোর দালানে মথুরবাবু দেখেছিলেন তাঁর স্ত্রী জগদম্বাদেবীর পাশে একজন স্ত্রীলোক মাতৃপ্রতিমাকে চামর দিয়ে বাতাস করছেন। তিনি চিনতে না পারলেও ভেবেছিলেন হয়তো নিমন্ত্রিত কোনও অতিথির স্ত্রী। পরে যখন তাঁর স্ত্রীকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, জগদম্বাদেবী বলেছিলেন যে, তাঁর পাশে চামর হাতে ভাবাবস্থায় ছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ।

এই বাড়ির দুর্গাপ্রতিমার মুখের রং হয় তপ্ত কাঞ্চনবর্ণ। শোলার সাজে সজ্জিত প্রতিমা। শহরে পুরনো পুজোগুলির মধ্যে এই পরিবারের প্রতিমা আজও নিজেকে চেনায় আলাদা করে। দেবীর চালচিত্রেও থাকে বৈচিত্র। আঁকা হয় চণ্ডী ও পুরাণের নানা কাহিনি। এ ছাড়াও থাকে শুম্ভ-নিশুম্ভ বধ, শ্রীকৃষ্ণের গোপিনীদের বস্ত্রহরণ, গোপিনীদের সঙ্গে জলকেলির মতো নানান পৌরাণিক কাহিনি।

[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদের সমর্থন আহমেদাবাদে বদলে গেল টিটকিরিতে, এ কী শুনতে হল বাবরকে!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement