দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি পদে বসার পর এটাই তাঁর প্রথম বাংলায় আসা। ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে সোম ও মঙ্গলবার। রাষ্ট্রপতির নানা কর্মসূচির বিস্তারিত দেখে নিন একঝলকে:
রাত ৯.২৫: মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তার আগেই ক্ষোভের আঁচ বিশ্বভারতীতেত। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে সরাতে চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে খোলা চিঠি দিলেন বুদ্ধিজীবীরা। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, আশ্রমিকরাও রয়েছেন।
সন্ধে ৬.৩০: বঙ্গে আদিবাসীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এমন অভিযোগ তুলেই রাজভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নালিশ জানালেন বঙ্গ বিজেপির প্রতিনিধিরা।
বিকেল ৫.৫০: ভাষণে বাংলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাষ্ট্রপতি। বাংলায় বললেন, “বাংলা ভাষা মিষ্টি ভাষা।” তুললেন মাতঙ্গিনী হাজরা, বিনয়-বাদল-দীনেশ প্রসঙ্গ। বললেন, “বাংলা থেকেই তো সৃষ্টি হয়েছে বন্দেমাতরম।”
বিকেল ৫.২০: রাষ্ট্রপতির হাতে উপহার তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকেল ৫.১৪: সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ধামসা-মাদল, আদিবাসী নৃত্যের আয়োজন। নেতৃত্বে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ধামসা বাজিয়ে নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে নাচলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। আপ্লুত রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল উঠে দাঁড়িয়ে দিলেন হাততালি।
বিকেল ৫: নেতাজি ইন্ডোরে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, রাজ্যপাল। পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এখানেই রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।
দুপুর ৩.৪০: বিকেলে নেতাজি ইন্ডোরে রাষ্ট্রপতিকে সংবর্ধনা দেবে রাজ্য সরকার। অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিত শেষ মুহূর্তে। বাংলার ঐতিহ্য মেনে হাঁড়ি ভরতি রসগোল্লা তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে।
দুপুর ১.৩৪: মহর্ষি ভবনের তিনটি গ্যালারি ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি। জন্মকক্ষ, প্রয়াণকক্ষ, বিচিত্রাকক্ষ ঘোরেন। বিচিত্রাকক্ষের আসবাবপত্রগুলি যাতে ভালভাবে সংরক্ষণ করা হয়, সেদিকে জোর দেন। ঠাকুরবাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে চান। তাঁকে চিত্রকর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি এবং নোবেলজয়ীর লেখা ৪টি ইংরাজি ভাষার বই তুলে দেওয়া হয় ঠাকুরবাড়ির তরফে।
দুপুর ১.০৫: নেতাজি ভবনে থেকে রাষ্ট্রপতি পৌঁছে যান জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শশী পাঁজা, বীরবাহা হাঁসদা, পর্যটন দপ্তরের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। ‘সোনার তরী’তে বিশ্রাম নিয়ে ঘুরে দেখেন ঠাকুরবাড়ি।
দুপুর ১২.৪০: নেতাজি ভবনে পৌঁছলেন রাষ্ট্রপতি। তাঁকে স্বাগত জানান প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসুর ভাই সুমন্ত্র বসু। দেশনায়কের মহানিষ্ক্রমণের স্মৃতি বিজড়িত কালো গাড়িটি খুলে দেখানো হয় রাষ্ট্রপতিকে। এরপর গোটা বাড়ি ঘুরে দেখেন দ্রৌপদী মুর্মু। সুমন্ত্র বসু জানান, ”নেতাজির শোবার ঘরে আমরা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিলাম। গোলাপের পাঁপড়ি ছড়ানো ছিল। তিনি তা দিয়ে নেতাজির ছবিতে শ্রদ্ধা জানান। তাঁকে এই ঘরের মহিমা বোঝালাম। এখান থেকেই মহানিষ্ক্রমণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল, তা বললাম।”
দুপুর ১২.২৩: হলুদ গোলাপের তোড়া হাতে মুখ্যমন্ত্রী রেস কোর্সে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে। তাঁকে একটি শাল পরিয়ে দেওয়া হয়। করজোড়ে দু’জনের সৌজন্য বিনিময়ের পর ফের রাষ্ট্রপতি উড়ে যান ভবানীপুরে, নেতাজি ভবনের (Netaji Bhaban) উদ্দেশে। ছিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
দুপুর ১২.১০:দমদম বিমানবন্দর থেকে চপারে রেস কোর্স উড়ে যান রাষ্ট্রপতি। সেখানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee), রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
দুপুর ১২.০৩: বিমানবন্দর থেকে বেরনোর সময় গার্ড অফ অনার দেওয়া হল রাষ্ট্রপতিকে। তারপর হুডখোলা গাড়িতে বিমানবন্দরের বাইরে বেরন দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।
বেলা ১১.৫৫: দমদম বিমানবন্দরে (Dum Dum Airport) অবতরণ রাষ্ট্রপতির কপ্টারের। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানালেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। ছিলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুজিত বসু, বীরবাহা হাঁসদা। রাষ্ট্রপতিকে স্যালুট করলেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.