সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতার নাগরিক সমাজও। সেই উদ্বেগই ধরা পড়ল বিভাস চক্রবর্তী, শুভাপ্রসন্ন ও সুবোধ সরকারের কথায়। শুক্রবার কলকাতার প্রেস ক্লাবে এই নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য প্রকাশ করলেন।
প্রেস ক্লাবে কার্যত নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিভাস চক্রবর্তী। বললেন, আগুন নিয়ে খেলা করছে কেন্ত্রীয় সরকার। অসমের মতো যদি বাংলাতেও নাগরিকপঞ্জি হয়, তা নিয়ে “ভয় পাচ্ছি” বলে সরাসরি মন্তব্য করেন তিনি। প্রশাসন যে নাগরিকপঞ্জি তৈরির ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কাগজপত্রকেও ধর্তব্যের মধ্যে আনছে না, এই অভিযোগও তোলা হয়। বিভাস চক্রবর্তী বলেন, কীসের উপর ভিত্তি করে নাগরিকপঞ্জি ঠিক করছে সরকার? যাদের নাম নথিভুক্ত হয়নি, তাদের জন্মের প্রমাণপত্র রয়েছে, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে। অথচ তারা নাগরিক হিসেবে নথিভুক্ত হতে পারছে না, এ কেমন নীতি? যদি সরকারকে এই দিনই দেখাতে হয়, তবে কেন ৭০ বছর ধরে আসতে দিল? এখন তো আর বললেই চলে যাওয়া যায় না।
[ শিক্ষকের চাকরি প্রত্যাখ্যান বহু প্রার্থীর, কারণটা কী? ]
একই কথা শোনা গেল সুবোধ সরকারের মুখেও। তিনি নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করেন। তিনিও প্রশ্ন তোলেন, সরকার রাতারাতি এমন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিতে পারেন? তারাই তো এইসব লোকজনদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড দিয়েছে। আর এখন বলছে “বেরিয়ে যাও”। “এভাবে চললে আমরাও নাগরিকত্ব প্রমাণ করে পারব না”, বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, প্রত্যেকের কাছে বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও একদিন বলা হচ্ছে, তারা নাকি নাগরিক নয়। এটাও সম্ভব?
বিভাস চক্রবর্তী ও সুবোধ সরকারের সঙ্গে নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করেন শিল্পী শুভাপ্রসন্নও। তিনিও একই প্রশ্ন তোলেন। বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কেন নাগরিকপঞ্জি থেকে বসিন্দাদের নাম বাদ গেল, তা নিয়ে প্রশাসনের কাছে জবাব চান তিনিও। নাগরিকপঞ্জি নিয়ে অসমের অবস্থা বেশ খারাপ। মরিগাঁও, নলবাড়ির মতো এলাকা তো বটেই এও দেখা গিয়েছে অসমের ভূমিপুত্রদেরও নাম ওঠেনি নাগরিকপঞ্জিতে। এই নিয়ে ক্ষোভ উত্তরোত্তর বাড়ছে। অসম থেকে ক্ষোভ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে।
[ অসমের নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে ধিক্কার দিবসের ডাক তৃণমূলের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.