Advertisement
Advertisement

মানিকচকে গুলিবিদ্ধ শিশুকে আনা হল শহরে, এসএসকেএম-এ ভরতিতে হয়রানি

শিশুটির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।

injured child Of Malda brought to Kolkata,admitted in SSKM
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:September 9, 2018 6:32 pm
  • Updated:September 9, 2018 6:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এখন অনেকটাই সেরে উঠেছে বছর তিনেকের শিশুটি। বিপদের আর আশঙ্কা নেই। কিন্তু, বাঁ হাত পা নাড়াতে পারছে না সে। মালদহের মানিকচকে গুলিবিদ্ধ শিশুটিকে রবিবার ভোরে আনা হল কলকাতায়। এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি সে। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সকালে শিশুটিকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করাতে গিয়ে বিস্তর বেগ পেতে হয়েছে তাঁদের। মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, এমনকী, স্ট্রেচারও। বহু টালবাহানার পর শিশুকে ভরতি নেওয়া হয়।

[ পঞ্চায়েত হিংসায় রেহাই নেই শিশুরও! বিজেপি সমর্থকের গুলিতে আশঙ্কাজনক খুদে]

Advertisement

পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে ঘিরে রাজ্যে অশান্তি ছড়ায়। মালদহে পঞ্চায়েত হিংসার শিকার হয় বছর তিনেকের শিশুটি। তার মা পুতুল মণ্ডল মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য। ১৮ আসনের এই পঞ্চায়েত বিজেপি একাই জিতেছে ১০টি আসনে। ৬টি আসনে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১টি করে আসন পেয়েছে কংগ্রেস ও নির্দল। স্বাভাবিক নিয়মে মানিকচক পঞ্চায়েতে বোর্ডও গড়েছে গেরুয়া শিবিরই। কিন্তু, পঞ্চায়েতের প্রধান পদে ভোটাভুটিতে তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থী সমসংখ্যক ভোট পান। দুই দলের প্রার্থীর পক্ষেই ৯টি করে ভোট পড়ে বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ মানিকচক পঞ্চায়েতে বিজেপি ১০ জন জয়ী প্রার্থীর মধ্যে একজন দলের প্রধান পদপ্রার্থীকে ভোট দেননি। যদিও শেষপর্যন্ত টসে জিতে প্রধান হন বিজেপির বিভুতি মণ্ডলই।

জানা গিয়েছে, শুধু কংগ্রেস ও নির্দল সদস্যই নন, পঞ্চায়েত প্রধান পদে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন বিজেপি সদস্য পুতুল মণ্ডল। মানিকচকের রামনগরে তাঁর বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। চলে গুলি ও বোমা। গুলিবিদ্ধ হয় বিজেপির ওই মহিলার সদস্যের তিন বছরের শিশুপুত্র। প্রথমে তাকে ভরতি করা হয়েছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পরে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। বিপদের আর কোনও আশঙ্কা নেই। কিন্তু শিশুটির শরীরের বাঁদিকে কোনও সাড় নেই। রবিবার ভোরের দিকে ট্রেনে ছেলেকে নিয়ে কলকাতায় আসেন পুতুল মণ্ডল ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দু’জন পুলিশকর্মীও। কিন্তু, এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুটিকে ভরতি করাতে গিয়ে পরিবারের লোকেরা রীতিমতো হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্স তো দূর, এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছনোর পর একটি স্ট্রেচারও পাননি তারা। দীর্ঘক্ষণ অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে গাড়িতে বসে থাকতে হয়। শেষপর্যন্ত অবশ্য ভরতি নেওয়া হয়।

[ শতাব্দী এক্সপ্রেসে বৃদ্ধ দম্পতিকে ‘হেনস্তা’ টিকিট পরীক্ষকের

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement