সুব্রত বিস্বাস: প্রায় দু’বছর বাদে মেল, এক্সপ্রেসে ফিরছে অসংরক্ষিত কামরা। স্বস্তি পেলেন সাধারণ যাত্রীরা। সংরক্ষিত টিকিট না পেয়ে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রা করতে চান, তাঁদের জন্য এই খবর একেবারে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো।
কোভিড (Covid-19) থাবা বসানোর পর সব ট্রেন বন্ধ রাখা হয়েছিল কয়েক মাস। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনা করে চালু করা হয় শ্রমিক স্পেশ্যাল। এরপর যখন সাধারণের জন্য যাত্রার অনুমতি মেলে তখন অসংরক্ষিত কোচকে সংরক্ষিত করে দেওয়া হয়। যুক্তি দেওয়া হয়, অংসরক্ষিত কোচে ভিড়ের চাপে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। এইভাবে গড়িয়ে যায় বছর দেড়েক। কোভিড পরিস্থিতির খানিকটা উন্নতি হলে শ্রমিক শ্রেণির মানুষ ফিরতে শুরু করেন কর্মস্থলে। কিন্তু অসংরক্ষিত টিকিট না মেলায় তাদের নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল।
এই সুযোগে দালাল শ্রেণি ফুলে ফেঁপে উঠছিল। নানামহল থেকে দাবি উঠেছিল, অসংরক্ষিত কোচ চালু করার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির আগে রেলের যাত্রীবহণ থেকে যা আয় হত তার ৭০ শতাংশই আসত স্লিপার রিজার্ভেশন থেকে। ফলে কোভিড পরিস্থিতিতে ট্রেন বন্ধ থাকায় রেলের আর্থিক ক্ষতি পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার বেশি হয়। ক্ষতির অনেকটাই সামাল দেয় ওই অসংরক্ষিত বগির সংরক্ষণে রূপান্তর। সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ও দাবি বিবেচনা করে সোমবার রেল বোর্ডের ডিরেক্টর প্যাসেঞ্জার মার্কেটিং বিপুল সিংঘল নির্দেশ দেন, অসংরক্ষিত কোচ ফের চালু করার জন্য।
এতদিন সব ট্রেনের নম্বরের সামনে ‘জিরো’ সংযোগ করে স্পেশ্যাল তকমা দিয়ে চালানো হচ্ছিল। কিছু ট্রেন থেকে ‘জিরো’ তোলা হলেও অধিকাংশ ট্রেনে ‘জিরো’র সংযোগ ছিল। এদিন এই ‘জিরো’ও সব ট্রেন থেকে তুলে দেওয়া হল। উল্লেখ্য, এক একটি মেল এক্সপ্রেসে তিন থেকে চারটি অসংরক্ষিত কামরা থাকে। ইন্টার সিটিতে সাত-আটটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.