Advertisement
Advertisement

Breaking News

Indian Railways

করমণ্ডল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, সিগন্যাল ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনছে রেল

বৃহস্পতিবার থেকেই রানাঘাট শাখায় শুরু হল কাজ।

Indian Rail to change signaling system after Coromandel Express accident
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 14, 2023 3:33 pm
  • Updated:December 14, 2023 3:36 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: পয়েন্ট ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার সাযুজ্যের অভাবে ভয়াবহ দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। সেই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে গোটা দেশেই ট্রেন চলাচল ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করল ভারতীয় রেল (Indian Railway)। শিয়ালদহ-রানাঘাট শাখায় আজ থেকেই শুরু হল কাজ। পূর্ব রেলের পয়েন্ট ও সিগন্যালিং ব্যবস্থায় মূলত সংস্কার আনা হচ্ছে। শীতের মরশুমে ট্রেন চলাচল ব্যবস্থাকে বাড়তি সুরক্ষা দেবে এই ব্যবস্থা। এমনই মনে করছেন রেল কর্তারা। ফলে ট্রেন চলাচলে যেমন নিরাপত্তা বাড়বে, তেমনই ট্রেনের গতি বাড়িয়ে বাড়তি ট্রেন চলার সম্ভাবনাও রয়েছে।

যাত্রাপথে ট্রেনের ট্র্যাক বদলের সুনির্দিষ্ট অংশকে ‘পয়েন্ট’ বলা হয়। এই লাইনের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত থাকে সিগন্যালিং ব্যবস্থাও। অর্থাত্‍ ট্রেনকে তখনই পয়েন্টের মাধ্যমে ট্র্যাক বদলের (Track change) অনুমতি দেওয়া হয়, যখন প্রবেশ করতে যাওয়া লাইনে অন্য কোনও ট্রেন থাকে না। সিগন্যাল সবুজ থাকলেই এই লাইন বদল প্রক্রিয়া করা হয়। এখানেই বিভ্রান্তির কারণে এত বড় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় প্রায় তিনশো জনের। এবার তেমন দুর্ঘটনা রুখতেই সিগন্যালিং সিস্টেমে (Signalling system) বদল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘অ্যানিম্যাল’-এর সিক্যুয়েলে রণবীরের বিপরীতে নতুন নায়িকা, বাদ পড়ছেন ‘ভাবি ২’ তৃপ্তি দিমরি?]

পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বিগত নভেম্বর মাসে এই জোনে ৬৯টি পুরনো পয়েন্ট মেশিন বদল করে তাতে নতুন যন্ত্র লাগানো হয়েছে। চারটি ডিভিশনে বসানো নতুন পয়েন্ট মেশিনের সংখ্যা শিয়ালদহে ৩৩টি, আসানসোলে ১৭টি, হাওড়ায় ১২টি এবং মালদহে ৭টি। এই পয়েন্ট মেশিনগুলি সিগন্যালিং ব্যবস্থার সঙ্গে ইন্টারলক (Interlock) থাকে। এই দু’টি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা একযোগে কাজ করে। পয়েন্ট আনলক হলেই সিগন্যাল সবুজ হয়ে যায়। তা দেখে ট্রেন এক লাইন থেকে ভিন্ন ট্র্যাকে উঠে পড়ে। যাত্রী নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা অতি জরুরি। কারণ, তীব্র গতিতে থাকা ট্রেনের লাইন বদলের এই প্রক্রিয়ায় সামান্যতম এদিক-ওদিক হলেই ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

[আরও পড়ুন: যাত্রী মাত্র একজন, তবু নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়ল বাস, ‘একেই বলে পেশাদারিত্ব’, বলছে মুগ্ধ নেটিজেন]

রেল সূত্রে খবর, গত এপ্রিল থেকে নভেম্বর – এই আটমাসে চারটি ডিভিশনে সবমিলিয়ে ৪৪১টি পুরনো পয়েন্ট মেশিন বদলে নতুন যন্ত্র বসানো হয়েছে। এই যন্ত্রের সঙ্গে সিগন্যালিং ব্যবস্থার যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে বিশেষ এক ধরনের তার। যাকে ‘সিগন্যালিং কেবল’ বলে। চলতি অর্থবর্ষের আট মাসে পূর্ব রেলের চারটি ডিভিশনে ১৬৫ কিলোমিটার রেলপথে নয়া এই কেবল বসেছে। যার মধ্যে গত মাসে ৬৬ কিলোমিটার লাইনে বসেছে নতুন সিগন্যালিং কেবল। ফলে এই ব্যবস্থা সূক্ষ্মভাবে ট্রেন চলাচলের সহায়ক হবে বলে মনে করেছে রেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement