চিনের উপর নজর।
অর্ণব আইচ: নজরে লাল চিন। তাই এবার বঙ্গোপসাগরে বিমানবহনকারী আধুনিক যুদ্ধজাহাজ ভাসাবে নৌসেনা। একই সঙ্গে নজর থাকবে ভারত মহাসাগরের দিকেও। প্রয়োজনে গভীর সমুদ্রে টহল দেওয়ার সময় ওই জাহাজ থেকে শত্রুঘাঁটি অথবা শত্রু জাহাজের দিকে উড়ে যাবে যুদ্ধবিমান। কলকাতায় এসেছে দুই যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস সুমেধা’ ও ‘আইএনএস কির্চ’।
[জলে-জঙ্গলে-পাহাড়ে শত্রুর উপর চরম আঘাত হানতে তৈরি হচ্ছে বিশেষ বাহিনী]
বুধবার খিদিরপুর ডকে ‘সুমেধা’-র ডেকে বসে পূর্বাঞ্চলের নৌসেনা কর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল দীনেশ ত্রিপাঠী জানান, কোচিতে তৈরি হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস বিক্রান্ত’। এই যুদ্ধজাহাজ যুদ্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে বহন করতে পারবে ৩০টি যুদ্ধবিমান। যুদ্ধজাহাজেই থাকবে এয়ার স্ট্রিপ। প্রয়োজন হলে জাহাজের এয়ার স্ট্রিপ থেকেই নির্দিষ্ট জায়গায় উড়ে যাবে মিগ ২৯ যুদ্ধবিমান। এই আধুনিক জাহাজটি কেন্দ্রীয় জাহাজ কারখানায় তৈরি হচ্ছে। আগামী দু’বছরের মধ্যেই এর কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা। ২০২০ সালে এই জাহাজটি পরীক্ষামূলকভাবে ভাসানো হবে সমুদ্রে। ২০২৩ সালে বিশাখাপত্তনমে নিয়ে আসা হবে এই জাহাজ। এর পর মূলত বঙ্গোপসাগরেই টহল দেবে এই যুদ্ধজাহাজ। নৌসেনা আধিকারিকদের মতে, সমুদ্রে ক্রমাগত টহল দিচ্ছে চিনের সেনাদের সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ। এখনও পর্যন্ত কোনও যুদ্ধজাহাজ জলসীমার কাছাকাছি চলে এলেও কোনও অশান্তি সৃষ্টি হয়নি। তবে চিনের সেনা বা পিএলএ-র যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিনের গতিবিধির উপর নজর রাখছে নৌসেনা।
[ইসরোর মুকুটে নয়া পালক, সফলভাবে আকাশে উড়ল ‘বিগ বার্ড’]
নৌসেনা সূত্রের খবর, চিনের বিষয়টি মাথায় রেখেই ভারতীয় জলসীমানায় নর্থ বে, মালাক্কা, মধ্য ভারত মহাসাগর ও সুনদার কাছে দু’টি করে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। যদি শত্রুপক্ষ বা জলদস্যু জাহাজ হামলা চালায়, সঙ্গে সঙ্গেই যাতে ঘটনাস্থলে নৌসেনা পৌঁছতে পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অপারেশনের জন্য আরও বেশ কিছু আধুনিক হেলিকপ্টারও নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নৌসেনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.