অর্ণব আইচ: বায়ুসেনা পেতে চলেছে আরও দু’শোটি যুদ্ধবিমান।এর মধ্যে ৮৩টি তৈরি করছে ভারতীয় সংস্থা ‘হ্যাল’। কলকাতায় এসে এই কথা জানান দেশের প্রতিরক্ষা সচিব ড. অজয় কুমার। এদিন বন্দরে উপকূলরক্ষী বাহিনীর দু’টি টহলদার জলযানের উদ্বোধন করেন প্রতিরক্ষা সচিব। তিনি জানান, ২০২৪ সালের মধ্যে আড়াইশো বিলিয়ন ডলার নৌবাণিজ্যে ভারত পৌঁছতে চাইছে। তার রক্ষার ভার উপকূলরক্ষী বাহিনীর উপরই। এই অনুষ্ঠানে উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিজি কৃষ্ণস্বামী নটরাজন জানান, উপকূল রক্ষার জন্য আগামী ২০২৪ সালের মধ্যে মোট দু’শোটি বিভিন্ন ধরণের জাহাজ ও জলযান টহল দেবে সমুদ্রে। ডিআরডিও-র সঙ্গে যৌথভাবে বেশ কয়েকটি ‘মাল্টিমিশন মেরিটাইম হেলিকপ্টার’ তৈরি করা হচ্ছে, যেগুলি টানা ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়ন্ত অবস্থায় অপারেশন চালাতে পারে। এদিন গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের সিএমডি রিয়ার অ্যাডমিরাল ভি কে সাক্সেনা জানান, এই মাসেই নৌসেনার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে একটি সাবমেরিন ধ্বংসকারী কভার্ট যুদ্ধজাহাজ, যার একটি মূল উপাদান হচ্ছে কার্বন। কলকাতার বুকেই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজটি তুলনামূলকভাবে হালকা। তার ফলে এর গতিও বেশি। প্রয়োজনে অতিরিক্ত গতিতে গিয়ে তা শত্রুজাহাজের উপর আঘাত হানতে পারে।
এদিন প্রতিরক্ষা সচিব উপকূলরক্ষী বাহিনীর যে দু’টি উচ্চগতির টহলদার জলযান উদ্বোধন করেন, সে দু’টির নাম অ্যানি বেসান্ত ও অমৃত কাউর। এই জলযান দু’টির বেস চেন্নাই ও হলদিয়ায়। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পূর্ব উপকূল ও সুন্দরবন এলাকার উপর নজরদারি চালাবে কলকাতায় গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে তৈরি এই দুই জলযান। এই ধরনের একটি জলযান ইতিমধ্যেই সমুদ্রে টহল দিচ্ছে। বাকি দু’টিও তৈরির কাজ চলছে। এদিন প্রতিরক্ষা সচিব জানান, দু’শোটির মধ্যে ১১০টি রাফায়েল ধরনের যুদ্ধবিমান বায়ুসেনা হাতে পাচ্ছে। যে ৮৩টি ‘হ্যাল’ তৈরি করছে, সেগুলি হচ্ছে ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট’ মার্ক ওয়ান এ। এগুলির ডিজাইনেও উন্নতি ঘটানো হয়েছে, যাতে তাড়াতাড়ি এর কাজ শেষ হয়। উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা উপকূল রক্ষার জন্য প্রত্যেকটি রাজ্য পুলিশ, মেরিন থানা, নৌসেনার সঙ্গে সংযোগ রেখে কাজ করছে। মৎস্যজীবীদের সঙ্গেও প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখছেন। পূর্ব ও পশ্চিম দুই উপকূল নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর ডিজি জানান, ইতিমধ্যে ১৪৫টি জলযান রয়েছে। আরও চার বছরের মধ্যে এই সংখ্যা হবে দু’শো। উদ্ধারকাজ, টহল ও বিভিন্ন অপারেশনের জন্য বাহিনীর নিজস্ব ৬২টি হেলিকপ্টার ও বিমান আছে। এর সংখ্যা হবে একশো। গত বছর এই বাহিনী এক হাজার জনের প্রাণ বাঁচিয়েছে। উপকূলে বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান ও জঙ্গি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য টহল আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.