রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আত্মনির্ভর ভারতের বার্তাকে হাতিয়ার করে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) চিঠি নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্যজুড়ে সম্পর্ক অভিযান শুরু করল বিজেপি। হাওড়াতে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশাপাশি বাংলায় দলের সমস্ত সাংসদ নিজের জেলায় ও রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা মঙ্গলবার মোদির চিঠি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন বাড়ি বাড়ি। একদিকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্যের খতিয়ান অন্যদিকে বিজেপি নেতৃত্ব ভোটারদের কাছে গিয়ে এই কর্মসূচির মাধ্যমে তুলে ধরছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতাকেও। সারা দেশেই বিজেপি এই কর্মসূচি শুরু করেছে। তবে বাংলায় ২০২১-এর বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই এই বাড়ি বাড়ি অভিযানকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারই শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। একইসঙ্গে কর্মীদের মাঠে নামিয়ে ভোটের আগে আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যও।
এদিন, মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলায় দেশপ্রাণ শাসমল রোডে কয়েকটি বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিঠি তুলে দেন দিলীপ ঘোষ। কয়েকটি বাড়িতে মহিলারা অভিযোগ করেন, লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে তাঁরা রেশন পাচ্ছেন না। এমনকী আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ত্রিপল দেওয়া হয়নি। বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। মধ্য হাওড়ার ৭৫ নম্বর বুথ ও শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ১৩৭ নম্বর বুথেও যান তিনি। অন্যদিকে, হুগলির চন্দননগর, চুঁচুড়া, বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি যান সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বোলপুরে সম্পর্ক অভিযানে অংশ নেন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বাঁকুড়ায় ডা. সুভাষ সরকার, মালদহ উত্তরে খগেন মুর্মু, কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক-সহ সমস্ত সাংসদরা।
সম্পর্ক যাত্রার সূচনার পর এদিন বিজেপির রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ‘তৃণমূল তোষণের রাজনীতি করছে। জাল ভোটারদের দিয়ে ভোট করার রাজনীতি। সীমান্তে বেড়া দিতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতির স্বার্থে দেশের সুরক্ষাকে বিক্রি করছে তৃণমূল সরকার। সীমান্তে যদি বেড়া দেওয়া হয়, তাহলে ওপার থেকে ভোটাররা আসতে পারবে না। তাহলে মুখ্যমন্ত্রী ভোটে জিততে পারবেন না’, মন্তব্য দিলীপবাবুর। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে ডেঙ্গুকে সামলাতে পারেনি এই সরকার। করোনাকেও সামলাতে পারছে না। লাদাখে (Ladakh) চিনা হামলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য, ‘করোনা ভাইরাসকে চিনা ভাইরাস। কমিউনিস্ট ভাইরাস বলা হচ্ছে। চিনকে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারতও।’
এদিন ফের রাজ্যে নতুন করে লকডাউন করার পক্ষে সওয়াল করেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘লকডাউন করতে হবে না হলে বাঁচার রাস্তা নেই।’ মুকুল রায় প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘বিজেপি বড় পার্টি। সবাই কাজ করছে। আর মুকুল রায় আমাদের দলের সর্বভারতীয় নেতা।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.