Advertisement
Advertisement
China

চিনা বাহিনীর উপর অগ্নিবৃষ্টি করতে তৈরি এম ৭৭৭ কামান, সীমান্তে প্রস্তুত ভারতীয় ফৌজ

কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে একথা জানালেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান।

India deploys lightweight M-777 howitzers to confront Chinese Army | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 19, 2021 9:14 am
  • Updated:February 19, 2021 9:14 am

অর্ণব আইচ ও মৈনাক মণ্ডল: সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে চিন সীমান্তে এম ৭৭৭ খুব হালকা হাউইৎজার কামান নিয়ে লালফৌজের মোকাবিলা করতে তৈরি রয়েছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)। বৃহস্পতিবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে একথা জানালেন সেনাকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান।

[আরও পড়ুন: চাপের মুখে নতিস্বীকার, গালওয়ানে ভারতের হাতে নিহত সৈনিকদের নাম প্রকাশ করল চিন]

ইস্টার্ন কমান্ডের সেনা সদর দপ্তর ফোর্ট উইলিয়ামে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টার্ন কমান্ডের জিওসি এনসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান বলেন, “লাদাখে চিনের সেনা অপসারণ শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গালওয়ানের ঘটনা এবং সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘাতের কথা মাথায় রেখে সিকিম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের সীমান্তে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ভারতীয় সেনা। চিনা সেনার মোকাবিলা রুখতে অনেকগুলি অতি হালকা হাউইৎজার কামান মোতায়েন করা হয়েছে। সদ্য আমেরিকা থেকে কেনা এম ৭৭৭ কামান তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া ড্রোন, অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থার মাধ্যমে চিনা সেনার উপর দিন রাত নজরদারি চালানো হচ্ছে।”

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে চৌহান আরও জানান, “উত্তর-পূর্বে চিনের মিস অ্যাডভেঞ্চার রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রস্তুতি যথেষ্টর চেয়ে বেশিই রয়েছে।” সেনার সাফল্যের রিপোর্ট কার্ড পেশ করে তিনি বলেন, “মায়ানমার সেনার সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাঁরাও সহযোগিতা করছেন। ফলে ২০২০ সালের নভেম্বরে পরেশ বড়ুয়া ঘনিষ্ঠ আলফার কমান্ডার দৃষ্টি রাজখোয়া আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছে। সেনার সাঁড়াশি অভিযানের জেরে আত্মসমর্পণ করেছে মায়ানমারে পলাতক এনএসসিএন (খাপলাং) গোষ্ঠীর কয়েকজন জঙ্গি নেতা।” তিনি বলেন, “অসমে বড়ো স্বশাসিত এলাকায় অবাধ ভোট নিশ্চিত করেছে ইস্টার্ন কমান্ডের অধীন সেনার বিভিন্ন ইউনিট। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মোকাবিলা করতে দ্রুত হাসপাতাল তৈরি করা থেকে পূর্বের আটটি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে হাজার হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও জনতার সেবায় উপস্থিত থেকেছেন সেনারা। করোনার টেস্টিং কিট এবং টিকা বণ্টনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে পুরো সহযোগিতা করেছে ইস্টার্ন কমান্ড।

করোনা আবহেও সিকিম ও অরুণাচল সীমান্তে চিনা সেনাদের মোকাবিলা করা হয়েছে যথাযথভাবে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল চৌহান। এজন্য ভারতীয় সেনারা শারীরিক সংঘাতে যেতেও পিছপা হননি। তবে সতর্ক থাকার কারণে চিন সীমান্তে মোতায়েন ইস্টার্ন কমান্ডের আওতাধীন কোনও সেনা জওয়ানই করোনা আক্রান্ত হননি। শুধু তাই নয়, গত বছর সুপার সাইক্লোন আমফান দুর্যোগের পর বিধ্বস্ত কলকাতার পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে সাফল্যের সঙ্গে উদ্ধার কাজ চালিয়েছেন সেনা জওয়ানরা। চলতি বছরে দেশে ১৪৪ জন সেনাকর্মী ও অফিসারকে তাঁদের অসামান্য অবদান ও বীরত্বের জন্য বিভিন্ন সেনা পদকে সম্মানিত করা হয়েছে। এর ৯৫ শতাংশ পুরস্কার পেয়েছে নর্দার্ন কমান্ড। এর থেকেই প্রমাণ পাকিস্তান সীমান্ত ও চিনের লাদাখ সীমান্ত বেশি অশান্ত ও উত্তেজনাপ্রবণ। তুলনায় পূর্ব ও উত্তর পূর্বে চিন সীমান্ত ততটা নয়।

[আরও পড়ুন: কূটনৈতিক মঞ্চে ধাক্কা খেল পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে বাতিল ইমরানের বক্তৃতা]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement