গৌতম ব্রহ্ম: আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে এবার খড়্গহস্ত রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকায় যাতে বেনোজল না ঢুকে যায়, সেটা নিশ্চিত করতে ত্রিস্তরীয় পরীক্ষাপদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। শুক্রবার নবান্নে রাজ্যের কুড়িটি দপ্তরের সচিব, জেলাশাসক এবং জেলার পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই বৈঠকেই আবাস যোজনার দুর্নীতি রুখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আবাস যোজনায় কারা সুবিধা পাওয়ার যোগ্য সেটা ঠিক করার জন্য ত্রিস্তরীয় পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করা হবে। প্রথম স্তরে সম্ভাব্য সুবিধাভোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখবেন আইসিডিএস (ICDS) এবং আশা কর্মীরা। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রথম স্তরে ঝাড়াইবাছাই করা হবে। পরবর্তী স্তরে সম্ভাব্য সুবিধাপ্রাপকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করবেন স্থানীয় থানার ওসিরা। তৃতীয় এবং সর্বোচ্চ স্তরে খোদ জেলাশাসককে বলা হয়েছে সুবিধাভোগীরা যোগ্য কিনা সেটা যেন সরেজমিনে খতিয়ে দেখা হয়।
এর বাইরেও প্রতিটি মহকুমা শাসকের অফিসে আলাদা করে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতি মুহূর্তে এই প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হবে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, দ্রুত আবাস যোজনার সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করে পোর্টালের মাধ্যমে জানাতে হবে। সেজন্য ২৫ ডিসেম্বরের ডেডলাইনও ঠিক করে দেন তিনি। সেই ডেডলাইন পূরণ করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে চাইছে রাজ্য। তবে কোনওভাবেই যাতে তালিকায় বেনোজল না ঢুকে যায়, সেটাও একই সঙ্গে খেয়াল রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ জটিলতার পর আবাস যোজনায় (PM Awas Yojona) রাজ্যের জন্য ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তবে শর্তসাপেক্ষে কেন্দ্র এই টাকা দিয়েছে। বলা হয়েছে, এই প্রকল্পে শুধু প্রধানমন্ত্রীর নামই থাকবে, মুখ্যমন্ত্রীর নয়। রাজ্যের দাবি ছিল, যেহেতু এটি যৌথ প্রকল্প, তাই প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী উভয়ের নামই থাক প্রকল্পে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছে, এই প্রকল্পে কোনওরকম দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.