সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে, ততই জোরদার হচ্ছে মারণ ভাইরাসের দাপট। গোটা দেশে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ব্যতিক্রমী নয় এ রাজ্যও। করোনা মোকাবিলায় রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে প্রশাসনকে। চিকিৎসক, নার্সরা আক্রান্ত হওয়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে একাধিক হাসপাতাল। ফলে রোগীদের চিকিৎসার বিকল্প ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের চাহিদা। এমন সংকটের
দিনে মানুষের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এবার রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়ালেন কলকাতার বাঙালি বাজার মসজিদের ইমাম। মসজিদের একটি তলায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
চলছে রমজান মাস। আর মুসলিম সম্প্রদায়ের এই পবিত্র মাসেই গার্ডেন রিচের জামিয়া মসজিদের ইমাম করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে এলেন। মসজিদটি বাঙালি বাজার মসজিদ হিসেবেই পরিচিত। বুধবার রাজ্য প্রশাসনকে এর তৃতীয়তলটিতে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির প্রস্তাব দেন মৌলানা কারি মহম্মদ মুসলিম রাজয়ি। বলেন, “মসজিদের তিনতলায় ৬ হাজার বর্গফুট জায়গা রয়েছে। সেখানে স্থানীয় ও আশপাশের মানুষদের থাকার বন্দোবস্ত করার প্রস্তাব
দিচ্ছি। আরও জায়গার প্রয়োজন হলে, সেই ব্যবস্থাও আমরা করব। মসজিদের আরও দুটো তলা তো রয়েইছে। তাছাড়া প্রয়োজনে আমাদের এলাকার স্কুলটিও দেওয়া হবে। পুরসভা চাইলে এই জায়গাটিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। আমরা সাধ্যমতো সমস্ত ব্যবস্থাই করেছি।”
সম্প্রতি পুরসভার আধিকারিক ও স্থানীয় থানার পুলিশের সঙ্গে আলোচনা হয় মসজিদের ইমামের। তারপরই পুরসভার অনুরোধে সাড়া দিয়ে মসজিদে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রাজয়ির কথায়, “বাঙালি বাজার, আইরন গেট রোড, বিচলি ঘাট রোডের মুসলিমরাই এই মসজিদে প্রার্থনা করতে আসেন। তাই ঠিক করেছিলাম ওদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব। আপাতত প্রার্থনার জন্য মসজিদটি বন্ধ। তাই প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলতে একটু সময় লাগল। তবে সবাই প্রস্তাবে রাজি। তাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার বানানোর জন্য পুরসভার অনুরোধে সম্মতি দিলাম।”
১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এস ইকবাল জানান, তিনি মসজিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। বর্তমানে বাড়ি থেকেই মানুষ প্রার্থনা করছেন। মসজিদ ফাঁকাই রয়েছে। তাই তা সাধারণের কাজে লাগায় তিনি খুশি। মসজিদের বন্দোবস্ত পুরসভার তরফে খতিয়ে দেখা হবে। এই এলাকায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরির জায়গা পাওয়ায় সুবিধা হল পুরসভার। এমনটাই জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.