অর্ণব আইচ: গ্রেপ্তারির পর প্রথমবার মুখ খুলে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। তার আগে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়।
আত্মপক্ষ সমর্থনে আদালতে ঢোকার মুখে শান্তনু বলেন, “আমি টাকা নিইনি। জেলের মধ্যে যারা আছে তারা ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ। আমি নির্দোষ। যা বলার কোর্টে বলব।” এরপরই আদালতে ঢুকে যান শান্তনু। চলছে জোর সওয়াল জবাব। সূত্রের খবর, শান্তনুকে ১৪ দিন হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ইডি। যদিও শান্তনুর আইনজীবী জামিনের দাবিতে সরব। ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক কী রায় দেন, সেদিকে নজর সকলের।
এদিকে, শান্তনুর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর শাশুড়ি। তিনি বলেন, “জামাই নির্দোষ। ওকে ফাঁসানো হয়েছে। ওর মতো পরোপকারী হয় না। মাঝরাতে কেউ অসুস্থ হয়েছে, খবর পেয়ে ও ছুটে গিয়েছে। তাকে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছে। জামাই এমন কিছু করতে পারে আমি বিশ্বাসই করি না। ইডি যখন শান্তনুকে ডেকেছিল। তখন ভয় করেনি। কারণ জামাই নির্দোষ। সেটা জানতাম। ওর পৈতৃক সম্পত্তি ছিল ভালই। চাকরি করত। এছাড়া ও লোন নিয়েছে। আমাকেও তো অনেকে বলত, জামাইকে একটু বলে দিতে। গ্রামে তো এ সব হয়।” জামাইয়ের প্রশংসা করার সময় কেঁদেও ফেলেন শান্তনুর শাশুড়ি। গ্রেপ্তারির খবর সংবাদমাধ্যমের সাহায্যে জানতে পারেন বলেও জানান।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি শান্তনুর বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। চলে তল্লাশি। সেই সময় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এরপর মোট সাতবার তাঁকে তলব করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারীরা। সেই মতো হাজিরা দেন শান্তনু। শুক্রবার সপ্তমবার সিজিও কমপ্লেক্সে যান তিনি। বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট নাগাদ পৌঁছন। সূত্রের খবর, বেলা ১২টা থেকে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। টানা প্রায় সাতঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। বয়ানে অসংগতির অভিযোগে শেষমেশ শুক্রবার সন্ধেয় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.