সুব্রত বিশ্বাস: মন্দির বা দেবতার থানে রাখা প্রণামী বাক্সে দক্ষিণা দেওয়ার রীতি দীর্ঘদিনের। তবে হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে বারাসতগামী বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া দেওয়ালেও ১০ টাকা নোট রেখে পাথর চাপা দিয়ে যান বাসের কন্ডাক্টররা। তাঁরা বলেন, ওটা নাকি ‘সিভিক বাবার’ থান। বুঝলেন না তো? বাড়তি যাত্রীর আশায় হাওড়া ব্রিজের ওঠার মুখে বেশ কিছু বাস দাঁড় করিয়ে রাখেন কন্ডাক্টররা। বেআইনি এই পার্কিংয়ের জন্য সিভিক ভলানটিয়ারদের ‘নজরানা’ দিতে হয়। তাই এই ব্যবস্থা। এদিকে এভাবে বাস দাঁড়িয়ে রাখায় চরম নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীরা।
[রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ আগুন, স্ট্র্যান্ড রোডে ব্যাহত যান চলাচল]
শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা হাওড়া স্টেশন। আর এই স্টেশনের খুব কাছেই হাওড়া ব্রিজ। এই ব্রিজকে কলকাতা শহরের প্রবেশদ্বারও বলা চলে। দিনভর এই এলাকা দিয়ে অজস্র বাস চলাচল করে। যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পরও দীর্ঘক্ষণ হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকায়ই দাঁড়িয়ে থাকে ৭১, ৭২, ২৮ ও ২৪ নম্বর রুটের বেসরকারি বাসগুলি। ফলে তীব্র যানজট তৈরি হয়। নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা। বাস কন্ডাক্টররা জানিয়েছেন, প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট বাস দাঁড় করিয়ে রাখার জন্য বাস পিছু ২০ টাকা নেয় ট্রাফিক পুলিশ। রাত ৮টার পর আবার বাস পিছু ৫০ টাকা দিতে হয়। রাতে আবার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে ট্যাক্সিও। ট্যাক্সি পিছু ৫০ টাকা আদায় করেন কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। তবে সরাসরি টাকা নেননি তাঁরা। টাকা দিতে হয় সিভিক ভলানটিয়ারদের। রাত বাড়ালে পুলিশকে দেওয়া ঘুষের টাকা যাত্রীদের কাছ থেকেই আদায় করেন বাস কন্ডাক্টর ও ট্যাক্সি চালকরা। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া থেকে শিয়াদহ পর্যন্ত বাস ভাড়া ৮ টাকা। কিন্তু, রাতে ১৫ থেকে ২০ টাকা দিতে হয়। যদি নির্ধারিত ভাড়ার বেশি দিতে রাজি না হন, তাহলে তাঁকে বাস বা ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। তাই রাত বাড়লে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকায় নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না।
[যৌনকর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা, শহরের হোটেল থেকে গ্রেপ্তার গুজরাট পুলিশের ‘ডিএসপি’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.