সুব্রত বিশ্বাস: করোনা (Corona) আবহে সাধরণ মানুষের জন্য বন্ধ লোকাল ট্রেন। আগামীতে পরিষেবা চালু করার বিষয়ে রাজ্যের উপর নির্ভরশীল রেল। এদিকে ট্রেনের দাবিতে রেল অবরোধ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিত্যদিনের ঘটনা। ঠিক তখনই সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে হাওড়া, শিয়ালদহের লোকাল ট্রেনেই আসছে পণ্য সামগ্রী। এই পরিস্থিতিতে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। যদিও এই ধরনের পণ্য পরিবহণকে সম্পূর্ণ বেআইনি বলে জানিয়েছে রেল। হাওড়া সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার রাজীব রঞ্জন জানিয়েছেন, এধরনের কাজ বেআইনি। ফলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
করোনা আবহে সংক্রমণ রুখতে লোকাল ট্রেন পরিষেবা সাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য রেল স্টাফ স্পেশ্যাল চালাচ্ছে। এরপর রাজ্যের অনুমতিতে সেই ট্রেনে জায়গা পেয়েছেন পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, ব্যাংক ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। কিন্তু পণ্য পরিবহণ এই ট্রেনগুলিতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তা সত্বেও ট্রেনের ভেন্ডার কামরা বোঝাই হয়ে হাওড়া, শিয়ালদহে আসছে তরকারি থেকে ছানা, প্লাস্টিকের ফুল থেকে অন্য নানা ধরনের সামগ্রী। মঙ্গলবার বেলার দিকে হাওড়াগামী কটোয়া লোকালে এই ধরনের সামগ্রী আসায় ক্ষোভ উগড়ে দেন যাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, মানুষ যখন রুটিরুজির তাগাদায় কর্মস্থলে পৌঁছতে পারছে না ট্রেনের অভাবে, ঠিক তখনই ট্রেনে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় আসছে পণ্যসামগ্রী। যাত্রীদের অভিযোগ, স্বল্প দূরত্বে ট্রেনে পণ্য বুকিং হয় না। ফলে লোকাল ট্রেনে সেই সামগ্রী তোলাটাই বেআইনি। এছাড়া এই সামগ্রী যারা ট্রেনে নিয়ে আসছে তারাও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কোনও কর্মী নয়। ফলে তারাও ট্রেনে যাতায়াত করছে টিকেট না কেটেই। এটাও বেআইনি কাজ। তবুও এসব সম্ভব হচ্ছে এক শ্রেণির টিকিট পরীক্ষক ও আরপিএফ-এর প্রকাশ্য মদতে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ১৫ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বেশ কিছু বিধিনিষেধের মধ্যে সাধারণের জন্য রেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হলেও চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে ট্রেন চালানোর জন্য রেল কোনও আবেদন করবে না রাজ্যের কাছে। পূর্ব রেলের এজিএম অনিত দুলাত বলেন, “আর আবেদন করা হবে না। যদি রেলকর্মীদের নিজস্ব প্রয়োজনে ট্রেন লাগে তবে স্টাফ স্পেশ্যালের সংখ্যা বাড়ানো হবে। কয়েকদিন আগে হাওড়া এবং শিয়ালদহে বেশকিছু ট্রেন বাড়ানো হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.