Advertisement
Advertisement

মাত্র ৩৫ হাজারে শহরের বাজারে মিলছে অটোমেটিক পিস্তল

শহরে জাল ছড়াচ্ছে মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারিরা।

Illegal arms factory busted in Kolkata, 4 nabbed
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 29, 2017 4:00 am
  • Updated:August 9, 2021 6:22 pm  

স্টাফ রিপোর্টার : ৭.৬৫ অটোমেটিক পিস্তল। সঙ্গে এক ‘ম্যাগাজিন দানা’ অর্থাৎ, পাঁচটি বুলেট। দাম ৩৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। কলকাতার বুকেই তৈরি হচ্ছিল ‘মুঙ্গের মেড’ পিস্তল। বিহার পুলিশের চোখ এড়াতে মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারিরা রীতিমতো কারখানা খুলে ফেলেছিল পূর্ব কলকাতার তিলজলায়। সাইকেল ও লেদ কারখানার আড়ালে শুরু হয়েছিল অস্ত্র তৈরির কারখানা। কিছুদিন আগে পশ্চিম বন্দর এলাকা থেকে ধরা পড়ে দু’টি ৭.৬৫ পিস্তল। গ্রেফতার হয় দুই পাচারকারী। তাদের টানা জেরা করেই পুলিশ এই দুষ্কর্মের কথা জানতে পারে। সেই সূত্র ধরে পুলিশ গভীর রাতে হানা দেয় তিলজলার সি এন রায় রোডের বাড়িটিতে।

ডিসি (পোর্ট) সৈয়দ ওয়াকার রাজা জানান, ওই অস্ত্র কারখানা থেকে ৮টি ৭.৬৫ অটোমেটিক পিস্তল উদ্ধার হয়। তার মধ্যে দু’টি তৈরি করা হচ্ছিল। উদ্ধার হয়েছে ১৬টি ম্যাগাজিন, ৫০ রাউন্ড বুলেট। অস্ত্র তৈরির জন্য কারবারিরা নিয়ে এসেছিল দু’টি বড় লেদ মেশিন, একটি ব্যারেল ড্রিলিং মেশিন, একটি ফিনিশিং লেদ মেশিন, পাঁচটি ক্ল্যাম্প মেশিন, দু’টি মেটাল পলিশিং মেশিন ও প্রচুর সরঞ্জাম। বাড়ি থেকে পালানোর আগেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় মুঙ্গেরের আম্বে চকের বাসিন্দা সৌরভ কুমার (১৯), মুঙ্গেরের কোতোয়ালির গুলজার পোখার গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ সোনু (২২), মুঙ্গেরের কাশিমবাজারের হজরতগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ রাজু (২২) ও মহম্মদ সরফরাজ আলম (২৪) নামে চার যুবক।

Advertisement

[কুলারের হাওয়া কার দিকে, বচসায় বাবা-ছেলেকে গুলি করে খুন]

জানা গিয়েছে, সাত দিন আগে অস্ত্র কারবারিরা ওই এলাকার বাসিন্দা শেখ বাবুর কাছ থেকে ওই বাড়িটি ভাড়া নেয়। মাসে ৮ হাজার টাকা ভাড়া দেওয়ার চুক্তি হয়েছিল। এর মধ্যেই মেশিন নিয়ে এসে তারা কারখানার কাজ শুরু করে দেয়। অস্ত্র তৈরি করে রীতিমতো মুঙ্গেরের এজেন্ট মারফত অস্ত্র পাচার হতে থাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ধোবিতালাও এলাকায় হানা দেয়। পুলিশের কাছে খবর ছিল যে, দুই যুবক বাইক নিয়ে একজনকে অস্ত্র বিক্রি করতে আসবে। সেইমতো পুলিশ আধিকারিকরা জাল পেতে আফরোজ আলম ও ইমতিয়াজ আহমেদকে ধরে ফেলেন। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দু’টি পিস্তল, দশ রাউন্ড বুলেট ও দু’টি ম্যাগাজিন। জানা যায়, তারা মুঙ্গেরের বাসিন্দা। ধৃতরা প্রথমে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে। কিন্তু জেরার মুখে তারা স্বীকার করে, মুঙ্গেরে নয়, তারা কলকাতায় অস্ত্র তৈরির কারখানা খুলেছে। বুলেট আনছে বিহার থেকে। বেআইনি অস্ত্র পাচারের অন্য মাথাদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[গুলশন কাণ্ডের অন্যতম মূলচক্রী গ্রেপ্তার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement