Advertisement
Advertisement

Breaking News

কালীঘাট

‘ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি মা কালীর কাছে’, নববর্ষে কালীঘাট দর্শন বন্ধে আক্ষেপ মমতার

এ`বছর করোনা কোপে পয়লা বৈশাখ।

'I pray to pardon to Maa kali',CM regrets for not visiting Kalighat
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 11, 2020 9:55 pm
  • Updated:April 12, 2020 8:11 am  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ‌্যায়: ১ বৈশাখ বাঙালির নববর্ষ। করোনার কোপে এবছর তা বড়ই একলা হয়ে যাবে। নববর্ষ মানেই হালখাতা, মন্দিরে পুজো দিয়ে বছর শুরুর দিন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দে্যাপাধ্যায়ের কাছে নতুন বছরটা শুরু হয় কালীঘাটে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে। নববর্ষের আগের রাতেই পুজো সেরে ফেলেন তিনি। তবে এবার উৎসবের পরিস্থিতি নেই। এতদিনের সেই রেওয়াজ এবার ভাঙল। এই প্রথম কালীঘাটে পুজো দিতে যাবেন না তিনিও। শনিবার রুটিন বৈঠকের পর সেই আক্ষেপই প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিয়মের প্রতি বরাবরই কড়া নজর তাঁর। রাজ্যাবাসীর সুবিদার্থে তিনি যেমন লক্ষ্মণরেখার বলয় টানতে পারেন তেমনই পরিস্থিতি মোকাবিলায় হতে পারেন কঠোরও। সংক্রমণ রোধে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করলেন লকডাউনের আয়ুকাল। তবে নিয়ম মেনে এবছর কালীঘাটে মায়ের মন্দির দর্শনে ছেদ পড়ায় শনিবার এ নিয়ে নবান্নে বসেই খেদ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে বসেই জানিয়েছেন, এই প্রথমবার তিনি নববর্ষে বাড়ি থেকে বেরবেন না, কারণ লকডাউন। আর পাঁচটা জায়গার মতোই মন্দির, মসজিদ, গির্জায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই নিষেধাজ্ঞা তিনিও মানবেন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “প্রতি বছর মা কালীর কাছে যাই। এবার আর তা হবে না। আমি মা কালীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সব ঠিক হয়ে গেলে মা কালীর কাছে যাব।” এর পরই রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, “সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলছি। আর নিজে কী করে যাই। তাই সবাইকে বলছি, এবার সকলে বাড়ি বসেই নববর্ষ পালন করুন। বাড়িতে বসেই মনে মনে প্রার্থনা করুন। কালী পুজো, লক্ষ্মী পুজো– যাঁর যা পুজো করার বাড়ি বসেই করুন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘করোনা হটস্পট বলে কিছু হয় না’, নবান্নে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন মমতা]

নববর্ষ মানেই একাধিক উৎসবের সময়। একাধিক ধর্মীয় রীতি পালন হয়। গাজনের মেলা হয়, সবেবরাত হয়। কিন্তু এবার সেসবেও যে ছেদ। আগে মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার রাজ্যের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেকোনওরকম জমায়েত থেকে দূরে থাকতে। এদিনও মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছেন সেই বিধি মেনে চলার। তাঁর কথায়, “এবার যা পরিস্থিতি, তাতে আর কিছু করার নেই। মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার রয়েছে। তাদের সবার কাছে আবেদন যাদের যা করার সব বাড়িতে বসে করুন। এখন একটা রোগের আগুন লেগেছে। এটা একটা দুঃস্বপ্নের আগুন।” যদিও এই কঠিন পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর মনোবল ভেঙে না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যবাসীকে। এদিন ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকেও সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। পালটা শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।

[আরও পড়ুন:স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিতকরণের জল্পনা, প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুতে দোকানে ভিড় আতঙ্কিত জনতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement