রাহুল চক্রবর্তী: নজিরবিহীন সংঘাত!
আরও একটু স্পষ্ট করে বললে, সংঘাত এবার উচ্চগ্রামে। বিল নিয়ে রাজভবন বনাম সরকারের মধ্যে যে বিতর্ক চলছে, তার মধ্যেই টুইট করে রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বুধবার সকালে টুইট করে রাজ্যপাল জানান, ‘আমি সংবিধান মেনে কাজ করছি। অন্ধের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। রাবার স্ট্যাম্প বা পোস্ট অফিস কোনওটাই নই।’
এর আগে হেলিকপ্টার দেওয়া, জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করা, সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর মতো একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত বেধেছে। এবার সংঘাত বিধানসভার অধিবেশনে বিল নিয়ে। গণপিটুনি প্রতিরোধ, তফসিলি ও আদিবাসী নির্যাতন বিরোধী বিল, পুর সংশোধনী-সহ কয়েকটি বিল রাজভবনে পাঠিয়েছিল বিধানসভার সচিবালয়।
কিন্তু বিলে রাজ্যপাল সম্মতি দেননি বলে জানা গিয়েছে। যার ফলে দু’দিনের জন্য বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করে দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সম্মতি দেওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্যপাল যুক্তি দেন, তাঁর দিক থেকে কোনও সংঘাত নেই। বিলের বিষয়ে প্রতিটি দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারের তরফেই ঠিকমতো সহযোগিতা মেলেনি। সময়ে বিল পাঠানো হয়নি।
কিন্তু রাজভবনের যুক্তি মানতে নারাজ রাজ্য। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। এই অবস্থায় বুধবার সকালে রাজ্যপাল টুইট করে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি রাবার স্ট্যাম্প নন। টুইটে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘সংবিধান মেনেই বিলগুলি দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেরি হওয়ার কোনও কারণ নেই।’ রাজভবন জানিয়েছে, বিল নিয়ে এই দেরি হওয়ার দায় শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের। সরকার নানা অজুহাত খুঁজে বেড়াচ্ছে। বিল নিয়ে রাজ্যপাল গড়িমসি করছে, সরকারের এই অভিযোগ ফাঁপা।
As Governor I follow the script and tune of the Constitution and cannot blindly take a call. I am neither a rubber-stamp nor a post office. I am obligated to scrutinise the bills in the light of the Constitution and act without delay. Concerned at delay by government on this.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 4, 2019
পাশাপাশি, ২৬ নভেম্বর সংবিধান দিবসে বিধানসভায় গিয়ে রাজ্যপাল সৌজন্য দেখাননি। মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে গিয়েছেন বলে শাসকদলের তরফে অভিযোগ তোলা হয়। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করেও টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। যে ছবিতে রাজ্যপালের পাশে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। সেই ছবি তুলে ধরে রাজ্যপাল জানান, ‘আমি নমস্কার জানিয়েছি। কিন্তু প্রতি নমস্কার কেউ জানাননি’। এদিন রাজ্যপাল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন বলে জানান।
This photograph is all revealing as regards unfolding of the response either side on the Constitution Day upon my arrival in the WB Assembly- my very first visit on November 26,2019. pic.twitter.com/cgeYIK37Cl
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 4, 2019
ছবি: শুভাশিস রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.