অভিরূপ দাস: স্ত্রী পুরভোটের প্রার্থী। তাঁকে সাহায্য করা স্বামীর কর্তব্য। আর সেই কর্তব্য পালন করতে হিমালয় থেকে নেমে এলেন স্বামী। ব্যাপারটা কী?
পাঁচ হাজার নশো ফুট উঁচুতে কর্মরত ছিলেন সংকেত চক্রবর্তী। সেখান থেকে সটান কলকাতায় ফেরত আসার উদ্দেশ্য একটাই পুরভোটে ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী স্ত্রী-র প্রচারে সাহায্য।
কলকাতার আলিপুর এলাকায় ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন দীপা চক্রবর্তী। কর্মসূত্রে তাঁর স্বামী থাকেন আলগাড়ায়। কালিম্পং থেকে আরও সতেরো কিলোমিটার। বাংলা সিকিম সীমানায়, কুয়াশা ঘেরা প্রত্যন্ত এক গ্রাম। সেখানেই রাজ্য সরকারের চাকরি করেন সংকেত।
রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের কর্মচারী, প্রচারে অংশ নিতে পারবেন? স্ত্রী সপাট জবাব, “ও তো প্রচার করছে না। বাড়িতে আমার বৃদ্ধ শশুরমশাই রয়েছেন। মেয়ে আছে। তাঁদেরকেই দেখভাল করছে সংকেত। ও না এলে আমি প্রচার করতে পারতাম না। আপাতত এক মাসের ছুটি নিয়েছেন সংকেত।”
বামপন্থী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা। প্রথমে রাইটার্সে চাকরি করতেন। এরপর বদলি হয়ে সল্টলেকের পঞ্চায়েত ভবনে। আর এখন হিমালয়ের কোলে। যেখানে তিনি চাকরি করেন, তারপর কর্মস্থল থেকে কয়েক পা দুরত্বে পশ্চিমবঙ্গের শেষ গ্রাম দামসাং। চারপাশে ঘন অরণ্য। সারা বছর কুয়াশার চাদর মুড়ে রাখে পাহাড়ের কোলের ওই এলাকাকে। কলকাতায় মেয়ে, বৃদ্ধ শশুরকে নিয়ে থাকেন দীপা চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, “আমার মেয়ে নেতাজিনগর গার্লস স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। করোনার সময় স্বামী শেষ বাড়ি এসেছিলেন। এতটাই দূর ওর কর্মস্থল বারবার আসা সম্ভব হয় না।”
দীপার অভিযোগ, বামপন্থী ইউনিয়ন করার জন্যেই ওঁকে অতদূরে বদলি করা হয়েছে। সংকেত যাতে কলকাতায় ফিরে আসতে পারেন সে জন্য একাধিকবার রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখেছেন ফরোয়ার্ড ব্লক সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। দীপার কথায়, “আমার পুরভোটের লড়াই এই বদলির একটা প্রতিবাদও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.