রিংকি দাস ভট্টাচার্য: শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেও মিলল না কোনও সমাধান সূত্র। আর সেই কারণে আগের মতোই অনশন চালিয়ে যাবেন শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর একথাই জানালেন অনশনকারীদের একজন।
ধর্মতলায় অনশন চলছে ছ’দিন ধরে। অনশন মঞ্চে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন জেলার প্রচুর চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ, উচ্চপ্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি চলছে। তার প্রতিবাদেই অনশন। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিকাশ ভবনে প্রতিবাদী চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কিন্তু সমস্যার সমাধান হল না এদিনও। এক চাকরিপ্রার্থী জানান, নিয়োগ নিয়ে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেননি শিক্ষামন্ত্রী। তিনি এমন কিছু বলেনওনি, যাতে আশার আলো দেখা যায়। আর তাই যতদিন না সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হবে, ততদিন অনশন উঠবে না বলে সাফ করে দিয়েছে প্রতিনিধি দল।
বিকাশ ভবন থেকে বেরিয়েই অনশনকারীদের এক প্রতিনিধি বৃন্দাবন ঘোষ বলেন, “মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে একঘণ্টা আলোচনা হয়। ওখানে এসএসসি-র চেয়ারম্যানও ছিলেন। আমাদের সমস্ত দাবি আমরা তাঁদের সামনে তুলে ধরি। শিক্ষামন্ত্রী সবটা শোনেন। কমিশনের অফিসে গিয়ে গোটা বিষয়টা দেখবেন বলে জানান চেয়ারম্যান। আমাদের ওয়েটিং লিস্টে চারশোজন প্রার্থী রয়েছে। ২০১৬-র প্রার্থীদের মধ্যে আমরা পাঁচজন এসেছিলাম। সকলের হয়ে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। অনশন মঞ্চে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তবে আমাদের কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি।” পরে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, তাঁদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।
এদিকে এসএসসি চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, “শিক্ষাদপ্তর শূন্যপদ আপডেট করে। এসএসসি নয়। এসএসসি-র কাছে যা শূন্যপদ আসে সেই অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আর কর্মশিক্ষা এবং শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে এসএসসি হস্তক্ষেপ করত না। ২৮ ফেব্রুয়ারির রাত থেকে পর্ষদ নিয়োগ পত্র দেওয়া শুরু করেছিল। তবে আদালতের স্টে অর্ডারের জন্য আপাতত তা বন্ধ আছে। এখানে এসএসসি-র কিছু করার নেই।
নবম থেকে দশম এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের দাবি তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রথম পদের জন্য ৮২২ এবং দ্বিতীয়টির জন্য শূন্যপদের সংখ্যা ২৬০০। এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান জানান, একমাসের মধ্যেই হবে কাউন্সেলিং। তিন থেকে চারদিনের মধ্যে এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারির আগেই যদি প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে কোনও সমস্যা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.