সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো কার্নিভালের পাশাপাশি তিলোত্তমার বুকে চলছে দ্রোহের কার্নিভাল। আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নেমেছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ। এরই মধ্যে পুজো কার্নিভালে যোগ দিতে গিয়ে ‘দ্রোহী’দের রোষের মুখে পড়লেন মন্ত্রী সুজিত বসু। পুজো কার্নিভাল থেকে প্রতিমা নিয়ে শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের গাড়ির ঠিক পিছনেই ছিল রাজ্যের মন্ত্রী তথা ওই ক্লাবের কর্ণধার সুজিত বসুর গাড়ি। আচমকাই দ্রোহের কার্নিভালে সামিলদের একাংশ এবং হাতে হাত ধরে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে থাকা আরও কয়েকজন হাত ছাড়িয়ে সুজিত বসুর গাড়ির দিকে ধেয়ে যান। তাঁদের মধ্যেই কয়েকজনকে জলের বোতলও ছুড়ে মারতে দেখা যায় মন্ত্রীর গাড়ির দিকে। গাড়ির পিছনের অংশে চড়, থাপ্পড় মারতে মারতেও এগিয়ে যান কয়েকজন। এই পরিস্থিতিতে সাময়িকভাবে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।
এসবের মাঝেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হলেন অপর্ণা সেন, উষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা। এদিকে ধর্মতলা চত্বরে মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে ডিসি সেন্ট্রালকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ধর্মতলা চত্বরে।
আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। অভয়ার সুবিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসক থেকে আমজনতা। মঙ্গলবার দ্রোহের কার্নিভালে শামিল হয়েছেন সকলে। সন্ধেয় অনশন মঞ্চে আসেন অপর্ণা সেন, উষসী চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এদিকে চারদিক থেকে আসা জুনিয়র ডাক্তারদের মানববন্ধন এসে মিলিত হয় ডোরিনা ক্রসিংয়ে। এই মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় ধর্মতলা চত্বরে।
অভিযোগ, মানববন্ধনে বাধা দেয় পুলিশ। এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের ঘিরে ফেলেন তাঁরা। ওঠে ‘গো ব্যাক’ ও ‘হায় হায়’ স্লোগান। হামলা চলে মন্ত্রীর গাড়িতে। সব মিলিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে ধর্মতলা চত্বর। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। দীর্ঘক্ষণ পর খানিকটা নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। তবে পুলিশের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সাফ কথা, লড়াই জারি থাকবেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.