সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জঙ্গলমহলে আন্দোলনের সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে দশ বছর পর বেকসুর খালাস পেলেন মানবাধিকার কর্মী প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। রবিবার দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। কারও বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ না থাকলে সমস্ত রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবি তুলেছেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত এই মানবাধিকার কর্মী।
রাজ্যে বাম জমানার শেষের দিকে মাওবাদীদের দৌরাত্ম্যে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল জঙ্গলমহল। মাওবাদী নিধনের নামে পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগে জঙ্গলমহলে পালটা আন্দোলনে নেমেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। জনসাধারণের কমিটির মুখ হয়ে উঠেছিলেন ছত্রধর মাহাতো, সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সোরেন, সগুন মুর্মুররা। সেই আন্দোলনে নাম জড়িয়েছিল রাজা সরখেল, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের মতো মানবাধিকার কর্মীদেরও। ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার করা হয় প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে। দশ বছর দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন তিনি।
এক দশক আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের আন্দোলনের সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের আরজি মেনে প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট।
কাঁটাপাহাড়ি বিস্ফোরণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয়েছিল জঙ্গমহলের জনসাধারণের কমিটির নেতার ছত্রধর মাহাতোর। তিনিও ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হন। গত বুধবারই তাঁর যাবজ্জীবনের সাজা রদ করেছে হাই কোর্ট। সাজা মেয়াদ কমে হয়েছে ১০ বছর। সাজার মেয়াদ কমানো হয়েছে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকায় অপরাধী সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সোরেন ও সুগুন মুর্মুরও। সেদিনই বেকসুর খালাস পান প্রসূন চট্টোপাধ্যায় ও রাজা সরখেলও। রবিবার মুক্তি পেলেন প্রসূন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.