স্টাফ রিপোর্টার: পেল্লায় ঝিলটা যেন ফুটন্ত তেলের কড়াই। বাঁচার জন্য লাফ দিয়ে উঠছে হাজার-হাজার মাছ। বোটানিক্যাল গার্ডেনের পর হাওড়ার সাঁতরাগাছি ঝিল। মাছের মড়ক লাগল রাজ্যের অন্যতম প্রধান পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থলে।
সোমবার সকাল থেকে একের পর এক মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখে আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। প্রথমে প্রাতঃভ্রমণকারীরা দেখতে পান কেঁপে কেঁপে উঠছে ঝিলের জল। তবে কি ভূমিকম্প? স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঝিলের মাঝগুলি লাফ দিয়ে দিয়ে উঠছিল। সে কারণেই কাঁপছিল ঝিলের জল। একটু পরেই আঁশটে গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। সারি সারি মরা মাছ ভেসে উঠতে থাকে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই মাছ ধরার হিড়িক পড়ে যায় স্থানীয়দের মধ্যে। অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যান সেই মরা মাছ। কিন্তু ঠিক কী কারণে এত মাছ মারা গেল? পরিবেশবিদদের আশঙ্কা, আবহাওয়ার কারণে জলের তাপমাত্রার হেরফের হওয়ায় মৃত্যু হতে পারে মাছেদের। মাছের মৃত্যুতে পরিবেশ দূষণের কারণকেও অগ্রাহ্য করা যাচ্ছে না। রয়েছে বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও। যদিও পাখিরালয় কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি! বিষক্রিয়া যুক্ত মাছ বাজারে বিক্রি হলে তা থেকে মানুষের স্বাস্থ্যহানিও হতে পারে! যাঁরা মরা মাছ ধরে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন তাঁদেরকে ওই মাছ খেতে নিষেধ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিষের কারণে মাছ মারা গেলে তা খেয়ে প্রাণহানিও হতে পারে সাধারণের। প্রায় ১২ হেক্টর আয়তনের জলাশয়টির রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ কথা নয়। সব জায়গায় পর্যাপ্ত পাহারাও নেই। কেউ যদি জলে কিছু মিশিয়ে দেয় তবে তা দেখা সহজ নয়। পরিবেশবিদরা জানান, বহুদিন আগেই জলাশয়ের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ের দু’দিকে ৩৫ মিটার উঁচু ওয়াচ টাওয়ার তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। তা তৈরি হলে সেখান থেকেই নজর রাখা যেত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.