ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: গেমিং অ্যাপ (Gaming App) জালিয়াতির টাকা কি লগ্নি করা হয়েছিল প্রোমোটিংয়ে? ই-নাগেটস মামলার তদন্ত শুরুর পর মূল অভিযুক্ত আমির খানের আরেক সঙ্গী রুমেন আগরওয়ালকে গ্রেপ্তার করে এই তথ্য যাচাই করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। উত্তর কলকাতার এক প্রোমোটারের ক্রিপ্টোকারেন্সির অ্যাকাউন্ট থেকে আরও সাত কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই টাকা বিটকয়েনে পরিবর্তন করেই অ্যাকাউন্টে রাখা হয়। ইডির দাবি, ৪৪.৫ বিটকয়েন ফ্রিজ করা হয়েছে, যার মূল্য ৭ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার সারাদিনই আমিরের সঙ্গী প্রোমোটার রুমেন আগরওয়াল ও তাঁর বাবা উমেশ আগরওয়ালকে সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করে ইডি। রাতে রুমেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবারই গেমিং অ্যাপ ই নাগেটস মামলায় মূল অভিযুক্ত আমির খানের এক সঙ্গীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। ইডির সূত্র জানিয়েছে, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি থেকে প্রথমে ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) হাতে আমির খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর লালবাজার ও ইডি আলাদাভাবে তদন্ত করে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা ফ্রিজ করে। সম্প্রতি ইডি আমিরের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ঘেঁটে কয়েকটি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পায়, যেখান থেকে বিপুল টাকা বিটকয়েনে (Bitcoin) পরিবর্তন করা হয়েছে।
রুমেন আগরওয়াল নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি উল্টোডাঙার মোড়ের কাছেই। পেশায় রুমেন ও তাঁর বাবা উমেশ আগরওয়াল প্রোমোটার। বুধবার ইডি তাঁদের বাড়িতে হানা দেয়। এছাড়াও যাদবপুর ও পার্ক স্ট্রিটেরও দু’টি জায়গায় হানা দেন তদন্তকারীরা। যদিও সেখান থেকে বিশেষ কিছু উদ্ধার হয়নি। তবে রুমেনদের উল্টোডাঙার বাড়ির বন্ধ আলমারি ভেঙে উদ্ধার হয় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। এদিন তাঁদের জেরা করে আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টের সন্ধান মেলে। তারই সূত্র ধরে জানা যায়, গেমিং অ্যাপ ও ডেটিং অ্যাপ থেকে জালিয়াতির বিপুল টাকার একটি অংশ গিয়েছে রুমেনের অ্যাকাউন্টে।
ইডির গোয়েন্দাদের মতে, আমির খান তার বিপুল টাকা বিভিন্ন পরিচিত এজেন্টদের মাধ্যমেই কমিশনের ভিত্তিতে বিটকয়েনে পরিবর্তন করত। তাদের মধ্যে একজন রুমেন। ইডির অভিযোগ, এতে মদত ছিল রুমেনের পরিবারের লোকেদেরও। তাই আমিরের কাছ থেকে কমিশন হিসাবে পাওয়া ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা তুলে রাখেন আলমারিতে। ওই টাকা তাঁদের পারিবারিক ব্যবসায় লগ্নি করার ছক কষা হয় বলে অভিযোগ। যদিও তার আগেই ইডি ওই নগদ টাকা উদ্ধার করে। ইডি আধিকারিকদের মতে, এর আগেও কয়েক দফায় পাওয়া কমিশনের বিপুল টাকা প্রোমোটিংয়ে লগ্নি করা হয়েছে। রুমেনকে শুক্রবার আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে ইডি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.