ফাইল চিত্র
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কেন্দ্র সরকার তাদের তহবিল থেকে রাজ্যগুলির জন্য যে বরাদ্দ পাঠায়, তার পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। আবেদনের জন্য একবারই মাত্র সুযোগ মিলবে। সবরকম নিয়ম মেনে তা করার দক্ষতা শেখাতে শনিবার বিভিন্ন দপ্তরের আর্থিক উপদেষ্টাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল অর্থদপ্তর।
দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী বৈঠকের শুরুতেই গাইডলাইন বুঝিয়ে দেন। মন্ত্রীর কথায় অবশ্য এটি কোনও বৈঠক নয়। কেন্দ্রের বরাদ্দ ব্যবহারের প্রক্রিয়া শেখানোর প্রশিক্ষণ। সেটাই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে আর্থিক উপদেষ্টাদের। বাকি দিনভর সল্টলেকের শুভান্নর এই প্রশিক্ষণ শিবিরে একেবারে শিক্ষকের ভূমিকায় ছিলে অর্থসচিব মনোজ পন্থ-সহ গোটা টিম।
বস্তুত, কেন্দ্রের বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু আবিশ্যিক নিয়মবিধি রয়েছে। সময় এবং আর্থিক পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের বেশ কিছু বদলও করতে হয়। কোনও সময় নিয়মে কী বদল হল, কীভাবে সেক্ষেত্রে বরাদ্দের জন্য আবেদন পদ্ধতি বদলাচ্ছে, তার সবটা নখদর্পণে না রাখলেই বিপত্তি। এক মুহূর্তে বরাদ্দ ছাঁটাই। রাজ্যের ক্ষেত্রে বরাদ্দ জেলাওয়াড়ি ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেওয়ার নিয়ম অনেক সহজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবেদনে কোথাও ভুল হলেও তা শুধরে নিতে বলে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হয় অর্থদপ্তরের তরফে। কেন্দ্রের কাছে সমস্ত রাজ্যের আবেদন আসে। তার সবটা বাছাই করতে গিয়ে গুরুত্বের দিকে নজর দেয় কেন্দ্র। ফলে গুরুত্বও বুঝতে হবে।
এই গুরুত্ব বিচারের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণে। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে বারবার গুরুত্বের বিচারে ব্যয়ের কথা বলেন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অযথা ব্যয়ের পক্ষপাতী নন তিনি। সে কথাও খোলাখুলি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যে পি-এসএমএস পদ্ধতি চালু করেছে রাজ্যগুলিকে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে সেই বরাদ্দ নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া মেনে গ্রহণের জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগ করার রীতি আছে। এই গোটা প্রক্রিয়াটা সম্পর্কে বিস্তারিত বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.