Advertisement
Advertisement

Breaking News

Chhat puja

করোনা কালে ভিড় এড়িয়ে কীভাবে হবে ছটপুজো? গাইডলাইন দিল কলকাতা হাই কোর্ট

বাজি বিক্রি রুখতে রাজ্যকে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালুর নির্দেশ আদালতের।

How to avoid crowd in the time of chhatpujo? | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 10, 2020 6:43 pm
  • Updated:September 20, 2021 12:04 pm  

শুভঙ্কর বসু: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে ছটপুজো কীভাবে হবে, মঙ্গলবার সে বিষয়ে গাইডলাইন দিল আদালত। কলকাতা হাই কোর্টের তরফে সাফ বলা হয়েছে, কোনওভাবেই জমায়েত করা যাবে না। পাশাপাশি, বাংলায় বাজি বিক্রি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়েছে রাজ্যকে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

করোনা পরিস্থিতিতে ছটপুজোর (Chhat puja) ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, এই মর্মে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেটির রায়ে মঙ্গলবার আদালতের তরফে বলা হয়েছে, ছট পুজোয় কোনও শোভাযাত্রা করা যাবে না। সরকারের নজরদারিতে যে সকল ঘাটগুলিতে ছটপুজোর আয়োজন করা হবে ছোটো গাড়িতে করে প্রতি পরিবারের ২ জন সেখানে যেতে পারবেন। তবে তাঁদের ক্ষেত্রেও মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার আবশ্যিক। কোনওভাবে জমায়েত করা যাবে না। প্রয়োজনে রাজ্য ১৪৪ ধারা জারি করতে পারে বলেও জানিয়েছে আদালত। এবিষয়ে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আজ ছটপুজোর ক্ষেত্রে মূলত ৩টি গাইডলাইন জারি হয়েছে। ছোটো গাড়িতে করেই যেতে হবে ঘাটে। এক পরিবারের ২ জন যেতে পারবেন। পরিস্থিতি বুঝে ১৪৪ ধারা জারি করতে পারবে রাজ্য।” তবে এখনও রবীন্দ্র সরোবরের ক্ষেত্রে কার্যকর নয় এই গাইডলাইন। কারণ, সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে কেএমডিএ। হাই কোর্ট জানিয়েছে, পুজোর আগে শীর্ষ আদালত সেই আবেদনে সাড়া না দিলে তবেই রাজ্যের বাকি ঘাটের মতো একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে সরোবরের ক্ষেত্রে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বামীর রহস্য মৃত্যুতে কাঠগড়ায় টালিগঞ্জের হাসপাতাল, স্ত্রীর অনুরোধে হস্তক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর]

পাশাপাশি, এদিন নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে খোলা বাজারে বাজি বিক্রি ইস্যুতে রাজ্যকে ভর্ৎসনা করে আদালত। প্রশ্ন করা হয় বাজি বিক্রি বন্ধে রাজ্যের তরফে ঠিক কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যদিও রাজ্যের উত্তরে সন্তুষ্ট হয়নি হাই কোর্ট। এরপরই রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ১২ নভেম্বরের মধ্যে একটি হোয়াটসঅ্যাপের নম্বর চালু করার। রাজ্যের যে কোনওপ্রান্তের মানুষ বাজি বিক্রি করতে দেখলেই সরাসরি ছবি তুলে তা পাঠাতে পারবেন ওই নম্বরে। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[আরও পড়ুন: ‘আয়নার সামনে দাঁড়ান আর বুঝুন কে আসল ফ্যাসিস্ট’, তেজস্বী সূর্যকে তীব্র আক্রমণ নুসরতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement