ফাইল ছবি।
গৌতম ব্রহ্ম: ৯৭-৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি কাজ ২৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে। শুক্রবার মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো ও নিরাপত্তাজনিত কাজ শেষ করতে এমনই নির্দেশ দিল নবান্ন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাজ শেষ করতে লোকবল বাড়ানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে স্বাস্থ্য নিয়ে জরুরি বৈঠক বসেছিল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনায় মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো নিয়ে যে সব প্রতিশ্রুতি সরকারের তরফে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কী অবস্থায় আছে তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিশ্রুতি পূরণে যাতে কোনও কালক্ষেপ না করা হয়, সেই নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই মতো শুক্রবার নবান্নে স্বাস্থ্য নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকেন মুখ্যসচিব। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলির কাজের অগ্রগতি কত দূর? গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই স্বাস্থ্য দফতর ও পূর্ত দফতরের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট নেন মুখ্যসচিব। তার পর দফায় দফায় স্বাস্থ্যসচিব নারায়নস্বরূপ নিগম ও পূর্তসচিব অন্তরা আচার্যর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ওয়েবেল কর্তারাও বৈঠকে ছিলেন বলে জানা গেয়েছে। ওই বৈঠকেই আরজিকর ও অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজগুলির জন্য আলাদা সময়সীমা বেঁধে দেন মুখ্যসচিব।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি বসানো, পর্যাপ্ত শৌচাগার নির্মাণ এবং সংস্কারের কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন রাজ্যকে। মুখ্যসচিব সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “রেফারেল সিস্টেম নিয়ে আরও সংস্কারে প্রয়োজন রয়েছে। বেশ কিছু সাজেশন আসছে। তার ভিত্তিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তাজ শেষ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টকে আমাদেরও জবাব দিতে হয়। প্রয়োজনে আপনাদের লোকসংখ্যা বাড়ান।”
নবান্ন সূত্রে খবর, স্বাস্থ্যসচিব ও ওয়েবেল কর্তাদের এই মর্মে বার্তা দেন মুখ্যসচিব। জানিয়ে দেন, সিসিটিভি, ওয়াশরুম, রেস্টরুম ও অতিরিক্ত লাইট এই চারটি কাজ ২৫ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। শুধু আরজি কর মেডিক্যালের ক্ষেত্রে সময়সীমা ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মুখ্যসচিব কয়েকটি ব্যাপার এদিনের বৈঠকে নোট করতে বলেন। এক, ২৫ অক্টোবরের মধ্যে যাতে কাজ শেষ হয় তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাসপাতালে আলাদা টিম তৈরি করতে হবে। দুই, হাসপাতালের কোথাও যেন আলোর ঘাটতি না থাকে। কোথাও স্থায়ী আলোকস্তম্ভ লাগানো সম্ভব না হলে অস্থায়ী আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। তিন, কাজ শেষ হলে মেডিক্যাল কলেজগুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করবে স্বাস্থ্য, পূর্ত ও নবান্নের ঠিক করতে দেওয়া বিশেষজ্ঞদের টিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.