Advertisement
Advertisement

Breaking News

নম্বর বাড়ানোর টোপ, ফাঁস ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের সেক্স টেপ

অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা দপ্তর।

Hooghly ITI professor asks sexual favour in lieu of marks, suspended
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 8, 2017 12:23 pm
  • Updated:August 8, 2017 12:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কলেজ শিক্ষকের লালসার শিকার ছাত্রীরা। নম্বর বাড়ানোর টোপ দিয়ে ছাত্রীদের অশ্লীল ইঙ্গিত। যৌন সম্পর্কে বাধ্য করা। চুঁচুড়া আইটিআই কলেজের এক ছাত্রী পর্দা ফাঁস করায় অভিযুক্ত অমিয় কুমারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়। বিপদ বুঝতে পেরে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের নিয়ে কলেজে হামলা চালায় অভিযুক্ত শিক্ষক। অভিযোগকারিণীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। পুলিশ এসে পড়ায় গুণধর শিক্ষক গা ঢাকা দেয়। তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা দপ্তর।

[‘বর্ণিকা আমার মেয়ের মতো, ও যেন সুবিচার পায়’]

প্রকাশ্যে আইটিআই কলেজের শিক্ষকের সেক্স টেপ। নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন সম্পর্কে বাধ্য করত অমিয় কুমার। হুগলির চুঁচুড়া আইটিআই কলেজের ওই শিক্ষক গত কয়েক বছর ধরে এমন অনাচার চালাচ্ছিলেন। এবছর এক ছাত্রী এর প্রতিবাদ জানান। অভিযোগ এরপর থেকে তাঁকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী মোবাইলেও ওই ছাত্রীকে নিয়মিত শাসানি চলত। এর প্রতিবাদে পড়ুয়ারা প্রিন্সিপালের কাছে ডেপুটেশন দেয়। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়। কমিটি অমিয় কুমারকে শোকজ করে। এই ঘটনার পরই বিপদ বুঝতে পারে ওই শিক্ষক। পড়ুয়াদের বক্তব্য, মঙ্গলবার কলেজে ৭-৮ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতীকে নিয়ে ওই শিক্ষক কলেজে চড়াও হয়। কলেজের গার্ডের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে কলেজে ঢোকে। এরপর পড়ুয়াদের মারধর শুরু করে। তবে কলেজের ছাত্ররা রুখে দাঁড়ানোয়  এবং পুলিশ আসার খবরে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। পড়ুয়াদের দাবি, অভিযোগকারিণীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ছক করেছিল তারা। এর প্রতিবাদে পড়ুয়ারা ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। অভিযুক্ত অমিয় কুমারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তারা সরব হয়েছেন। পড়ুয়াদের বক্তব্য, ওই শিক্ষক সমাজের কলঙ্ক।

Advertisement

[অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত, সন্দেহের বশে গৃহবধূর মাথার চুল কাটল গ্রামের মাতব্বররা]

অভিযুক্ত শিক্ষকের বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। অভিযোগ প্রতি বছর এমন টোপ দেওয়া ছিল তার কাজ। গত বছর প্র্যাকটিক্যাল রুমে এমন একটি ঘটনার ভিডিও তোলেন পড়ুয়ারা। যেখানে দেখা যায় শিক্ষকের লালসার শিকার হয়েছে এক ছাত্রী। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে কারিগরি শিক্ষা সংসদ। অমিয় কুমারকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে সংসদ। থানায় কোনও অভিযোগ জমা না পড়লেও, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করতে চায় পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement