ছবি - প্রতীকী
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: সুন্দর, সাজানো গোছানো ঝকঝকে স্পা। সেখানে পা রাখলেই ক্রেতাদের হাসি মুখে পরিষেবা দিতে সদাপ্রস্তুত কর্মীরা। আপাত দৃষ্টিতে সব ঠিকঠাক মনে হলেও স্পা নয়, আসলে স্পায়ের আড়ালে সেখানে চলছিল মধুচক্র। বৃহস্পতিবার খাস কলকাতার সেই মধুচক্রের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট সাতজনকে।
ঘটনা দক্ষিণ কলকাতার কসবার আর কে চ্যাটার্জি রোডের। একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের পাশেই ছিল এই স্পা সেন্টার। নাম লায়লা লিউইস স্পা। গত চার মাস ধরে গোপনে বেশ রমরমিয়েই বেড়ে উঠেছিল দেহব্যবসার কারবার। স্পায়ের আড়ালে দিনেদিনে খদ্দের সংখ্যা বেড়েই চলেছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ গোয়েন্দারা সেখানে অতর্কিতেই হানা দেন। হাতেনাতে ধরা পড়ে সাতজন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন তিন খদ্দেরও। মণীশ শর্মা, রাজেন্দ্র রামপুরিয়া এবং অমিত মিত্র।
পুলিশের জালে ধরা পড়া অমিত মিত্রের বয়স আবার ৬৫ বছর। তাঁদের পাশাপাশি তিন ম্যানেজার পারমিতা রায়, গণেশ সাউ, নিশা পাত্র এবং আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া স্পা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারজন যৌনকর্মীকেও। এদের এই মামলায় রাজসাক্ষী করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার জন্য এদের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হবে।
স্পাতে পুলিশ হানা দেওয়ার পর থেকেই পালাতক মালিক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। স্কুলের পাশে স্পা থাকায় নানা বয়সের লোকজনকে সেখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেত। ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা গোটা বিষয়টি নিয়ে বেশ বিরক্তই ছিলেন। একাধিকবার স্পা বন্ধের দাবিও জানানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। অবশেষে এদিন কসবায় মধুচক্রের পর্দা ফাঁস হওয়ায় স্বস্তিতে অভিভাবক এবং স্থানীয়রা। তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও কলকাতার একাধিক জায়গায় গোপনে তল্লাশি চালিয়ে মধুচক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.