ফাইল ছবি
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্য দপ্তরে তাঁর বসার ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবুও তিনি মুরলীধর সেন লেনের দপ্তরেই যাবেন। সেখানেই কথা বলবেন কর্মীদের সঙ্গে। একথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেই মতো শুক্রবার বিজেপির রাজ্য দপ্তরেই যান বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে জেদি দিলীপ জানিয়ে দিলেন, ‘‘আমি তো রাস্তায় বসে চা খাই। আমার বসার চিন্তা কী আছে।’’ প্রকাশ্যে ঘর নিয়ে কোনও ক্ষোভপ্রকাশ না করলেও অভিমানী দিলীপ এই মন্তব্য করে দলের ক্ষমতাসীন শিবিরকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি রাস্তায় থাকা লোক, সাধারণ কর্মীদের নেতা। তাঁর ঘর না থাকলেও রাস্তায় বসেই সাধারণ কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলবেন। আর তাই সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে ঝাঁ চকচকে নয়া পার্টি অফিসে তিনি যাননি।
সাধারণ কর্মীদের অবারিতদ্বার মুরলীধর সেন লেনের পুরনো পার্টি অফিসেই এদিন বিকেলে হাজির হন মেদিনীপুরের সাংসদ। আর এসে বুঝিয়েও দিয়েছেন তিনি দিলীপ ঘোষই। পার্টিতে সোজা কথা বলতে ভালোবাসেন। পুরনো রাজ্যদপ্তরে এসে পিছনের দোতলা বিল্ডিংয়ে তাঁর পাশের ঘরে গিয়ে বসেন। যে ঘরটি বর্তমানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর ঘর। পাশে দিলীপবাবুর ঘরে চেয়ার-টেবিল ডাঁই করে রাখা আছে। এদিন নিচের হল ঘরেই বসার কথা ছিল। কিন্তু উত্তর কলকাতা জেলার নেতারা দিলীপকে সোজা দোতলার ওই ঘরে নিয়ে যান।
সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষ মুরলীধর সেন লেনের দপ্তরে এলেই স্বাভাবিকভাবেই ঘর ভাঙা বিতর্ক ফের সামনে আসবে। তাই রাজ্য নেতাদের একাংশ চেয়েছিলেন, যাতে দিলীপ ঘোষকে সল্টলেক অফিসে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু রাজ্য নেতাদের কয়েকজনের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে এদিন দিলীপ পুরনো দপ্তরেই আসেন। দিলীপবাবু ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, সল্টলেকের পার্টি অফিসে গাড়ি ভাড়া করে সাধারণ কর্মীদের যাওয়া সম্ভব নয়। জেলার কর্মীরা সহজেই পুরনো রাজ্যদপ্তরে আসতে পারেন। ফলে তিনি এখানেই বসবেন।
এদিন সকালেই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী মুরলীধর সেন লেনে এসেছিলেন পরিস্থিতি দেখতে। উল্লেখ্য, বিজেপির রাজ্যদপ্তরে দুই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহার বসার ঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই দুই শীর্ষনেতার বিশেষ করে সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের জন্য বিকল্প কোনও বসার ঘরের ব্যবস্থাও করা হয়নি। মুরলীধর সেন লেনের পুরনো দফতরের কোথাও তো নয়ই, সল্টলেকের নয়া কার্যালয়েও নয়। এটা করে দিলীপ ঘোষের মতো বঙ্গ বিজেপির সফলতম সভাপতি ও দলে প্রভাবশালী নেতাকে অপমান ও কোণঠাসা করার চেষ্টা বলেই মনে করছে দলের আদি শিবির।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.