সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থনীতি তাঁর প্রিয় বিষয় হতেই পারে। তবে বাঙালি যখন, তা সেই আঁতুড় ঘর থেকেই খাদ্যরসিক তকমা তো বাধা! অন্যথা হয়নি নোবেলজয়ী বাঙালি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও। খাদ্যরসিক, মানে একেবারে মাছে-মাংসে-মিষ্টিতে বাঙালি যাকে বলে আর কী! অতঃপর বাড়িতে এলেই ছেলের হুকুম হয়, “ভাল মাছ নিয়ে এস।” নোবেল জয়ের পর আজই বাড়িতে ফিরছেন সোনার ছেলে, আর তার জন্য মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যস্ততার শেষ নেই। নিজে হাতে সাধ করে রাঁধবেন ছেলের যাবতীয় প্রিয় পদ। মেনু শুনলে জিভে জল আসতে বাধ্য আপনারও!
আজ সন্ধেতেই কলকাতায় পা রাখছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। নোবেল জিতেও তাঁকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। তবে, সোশ্যাল মিডিয়ার এই যাবতীয় কটাক্ষ নিয়ে সেভাবে মুখ খুলতে তিনি নারাজ। তবে ছেলের হয়ে অনেক আগেই সে হাল ধরেছেন মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট উত্তরে ঠান্ডা করেছেন ছেলের সমালোচকদের। সে যাই হোক! ছেলে বাড়িতে আসছে বলে কথা, তাই বালিগঞ্জের ‘সপ্তপর্ণী’তে এখন সাজ সাজ রব। ব্যস্ততা তুঙ্গে। খাবারের মেনুও এলাহি।
তা অভিজিতের জন্য কী রাঁধছেন মা? মাছ তাঁর ভীষণ প্রিয়। তাই মাছের দু’তিনরকম পদ তো থাকছেই। কাতলা কালিয়া, পোনা মাছের কালিয়া। তার সঙ্গে পাতে পড়বে পাঁঠার মাংস। মাটন কাবাব তো মাস্ট! তার সঙ্গে মাছের মাথা দিয়ে ডালও। আর শেষপাতে রসগোল্লার পায়েস। এ তো গেল মধ্যাহ্নভোজের মেনু। পরের দিন প্রাতঃরাশেরটা তো বাকি এখনও। বাঙালির প্রাতঃরাশের পাত লুচি ছাড়া কেমন যেন ‘বে-লুচিস্তান’ ঠেকে! আর সাদা সেই ফুলকো লুচির সঙ্গে যদি থাকে আলুর দম, তাহলে ব্যাপারখানা জমে ক্ষীর! সঙ্গে মিষ্টি।
তবে অভিজিৎ যে শুধু খেতে ভালবাসেন, এমনটাই নয়। তিনি ভালবাসেন রাঁধতেও। বাড়িতে এলেই শত ব্যস্ততার মাঝেই নাকি হেঁশেলে ঢুকে খুন্তি হাতে নেমে পড়েন ময়দানে। কিন্তু, এবার ব্যস্ততার মাঝে তিনি সেই রান্নার শখপূরণ করতে পারবেন কি না, তা জানা নেই। তবে নোবেলজয়ী ছেলেকে স্বাগত জানাতে মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু তৈরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.