কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: চিনে তৈরি ফরাসি সংস্থার ড্রোন (Drones) ঘিরে চাঞ্চল্য দমদম বিমানবন্দরে (Dumdum Airport)। কী উদ্দেশে তুলনায় অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন ৪টি ড্রোন কলকাতায় আনা হচ্ছিল, তা নিয়ে ঘোর সংশয়। তদন্তে নেমে বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন আইবি কর্তারা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বিদেশ থেকে ড্রোনগুলি আমদানি করেছিল মেটিয়াবুরুজের একটি সংস্থা। তাদের কাছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের লাইসেন্সের নথিও পাওয়া গিয়েছে। তবে তাতেও সংশয় কাটছে না দুঁদে গোয়েন্দা কর্তাদের। ড্রোন-রহস্যের দ্রুত সমাধান করতে মরিয়া তাঁরা।
দমদম বিমানবন্দর সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে বিমানবন্দরে ড্রোনগুলি নিয়ে আসা হয়েছিল। শুল্ক দপ্তরে চেকিংয়ের সময়ে তা অফিসারদের নজরে আসে। ড্রোন দেখে প্রথমেই সংশয় হয় তাঁদের। প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেখতে চান তাঁরা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নথি পেশ করা হয় শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে। ড্রোনগুলি নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় প্রথমে। তবে পরে ফের সংশয় হওয়ায় সেসব আটকানো হয়। খবর পাঠানো হয় আইবি’তে। তদন্তকারীরা ড্রোনগুলি নিয়ে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন। তাতেই বাড়ে সন্দেহ।
সূত্রের খবর, এই ড্রোনগুলি মূলত একটি ফরাসি সংস্থার। চিনে যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর পর তা কলকাতায় আনা হচ্ছিল। মেটিয়াবুরুজের একটি অফিস সরবরাহ করার কথা ছিল। এই ড্রোনগুলি উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন এবং নজরদারি ক্ষমতা অনেকটাই বেশি। কলকাতা পুলিশ নজরদারির জন্য যে ড্রোন ব্যবহার করে, তা সাধারণত ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকায় কাজ করে। এই ড্রোনগুলির নজরদারি ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ। সেই কারণেই সংশয় আরও বাড়ে। কেন এত বেশি শক্তিসম্পন্ন ড্রোন কলকাতায় আনা হচ্ছিল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন আইবি কর্তারা। এছাড়া এই সংক্রান্ত নথিপত্রও তাঁদের সন্তুষ্ট করতে পারছে না বলে খবর। কারণ, এর জন্য শুধু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নয়, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের লাইসেন্সও থাকা দরকার বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নজরে আনা হয়েছে। মন্ত্রকও সবটা খতিয়ে দেখছে বলে খবর। এ বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, শুল্ক দপ্তর বা IB, সকলেই এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ড্রোন-রহস্য বাড়ছেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.