সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘খাবারের কোনও ধর্ম নেই, খাবারই ধর্ম’৷ এই স্লোগান তুলে যারা গ্রাহকের ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল, তাদের সংস্থারই সরবরাহকারীরা ফের ধর্মের জিগির তুলে ধর্মঘটের পথে হাঁটলেন৷ ফের বিতর্কে জোম্যাটো৷ তবে এবার আর কোনও গ্রাহক নন৷ এবার বিতর্কের মূলে ডেলিভার বয়রা৷ ধর্মীয় মতাদর্শের বাইরে গিয়ে গরু কিংবা শুয়োরের মাংস গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন জোম্যাটোর হাওড়ার ডেলিভারি বয়রা৷ প্রয়োজনে কর্মবিরতির পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা৷ যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
বিভিন্ন রেস্তরাঁ বর্তমানে মুরগির মাংসের পাশাপাশি গরু কিংবা শুয়োরের মাংসের পদও থাকে৷ ক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছামতো খাবার অর্ডার করেন৷ কিন্তু হিন্দু এবং মুসলমান ডেলিভারি বয়রা গরু কিংবা শুয়োরের মাংসের অর্ডার পৌঁছে দিতে রাজি নন৷ ধর্মীয় মতাদর্শের বাইরে গিয়ে কোনও কাজ করতে চাইছেন না তাঁরা৷ একথা জোম্যাটো কর্তৃপক্ষকেও তাঁরা জানিয়েছেন৷ তবে অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি৷ তাই বাধ্য হয়ে সোমবার বকরি ইদের দিন থেকেই কর্মবিরতির পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জোম্যাটোর হাওড়ার ডেলিভারি বয়রা৷
ডেলিভারি বয়দের আরও দাবি, সরবরাহকারীকে পছন্দ না হলে অর্ডার বাতিল করতে পারেন ক্রেতারা৷ কিন্তু ডেলিভারি বয়রা কখনই খাবারের অর্ডার বাতিল করতে পারেন না৷ কারণ তাঁদের সেই ক্ষমতা নেই৷ যদি কোনও ডেলিভারি বয় অর্ডার বাতিল করেন, তবে তার কারণ দর্শাতে হয় ম্যানেজারকে৷ যথোপযুক্ত কারণ না দেখালে চাকরি পর্যন্ত খোয়াতে হতে পারে ওই ডেলিভারি বয়কে৷ তাই কর্তৃপক্ষের তরফেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত বলেই দাবি পরিবেশককে৷
দিনকয়েক আগে মুসলমান পরিবেশকের হাত থেকে খাবার নিতে অস্বীকার করেন গ্রাহক৷ তাঁর টুইটের পালটা জবাবে জোম্যাটোর তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় খাবারের কোনও ধর্ম হয় না৷ সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগে সরব খোদ ডেলিভারি বয়রা৷ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই বলছেন, জোম্যাটো কর্তৃপক্ষ যতই ধর্মীয় ভেদাভেদ রুখতে চান না কেন, এখনও কর্মীদের মন থেকে সংকীর্ণতা মুছতে পারেনি জনপ্রিয় খাবার সরবরাহকারী সংস্থা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.