Advertisement
Advertisement

Breaking News

Babul Supriyo

ঝালমুড়ি বিতর্ক থেকে তৃণমূলের প্রথম একাদশে সুযোগ, একনজরে বাবুলের বক্তব্যের ১০ পয়েন্ট

'দিলীপবাবুকে বর্ণপরিচয় উপহার দেব', কটাক্ষ বাবুলের।

Highlights of Babul Supriyo's speech after joining TMC | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:September 19, 2021 4:44 pm
  • Updated:September 19, 2021 5:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কেন দলবদল?  কারওর উপর অভিমান থেকেই কি বিজেপি ছাড়লেন রাজ্যসভার সাংসদ? নাকি মমতার মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিত্ব? কী দিল তৃণমূল? বাংলার রাজনৈতিক মহলের অন্দরে ঘুরপাক খাচ্ছে এ সব প্রশ্নই। আর  সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিতেই রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। রইল তাঁর বক্তব্যের ১০ পয়েন্ট ।

  • ‘বাংলায় খেলতে চাই’- মমতা দিদি ও অভিষেককে ধন্যবাদ। খেলার সুযোগ না পেয়ে বিজেপি ছেড়েছি। তৃণমূল প্লেয়িং ইলেভেনে সুযোগ দিয়েছে।
  • প্রসঙ্গ ডেরেক- পুরনো কোনও কমেন্ট মুছব না। গান মুছব না। যখন যেটা করেছি মন থেকে করেছি। ৪ দিনে সিদ্ধান্ত বদলেছি। এই ক’দিনে ওঁরা নিশ্চয়ই খুব উৎসাহব্যঞ্জক কিছু বলেছে, কিছু বুঝিয়েছে । তাই এটা হয়েছে। কাজের সুযোগ পেয়ে এসেছি। কাজে লাগাচ্ছি। তৃণমূলে যোগদানে অনুঘটক ডেরেক।

[আরও পড়ুন: কেন তৃণমূলে বাবুল সুপ্রিয়? যোগদানের পরই জানালেন কারণ, রইল তাঁর মন্তব্যের ১০ পয়েন্ট]

Advertisement
  • ‘জাতীয় রাজনীতিতে বাড়ছে মমতার গুরুত্ব’-মমতা দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী হয়ে উঠছেন। গণতন্ত্রে বিরোধীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুখ। এটা বিজেপিও মানে। তাই তাদের একাধিক বিরোধী নেতা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।
  • প্রসঙ্গ ঝালমুড়ি- মমতা দিদির সঙ্গে ঝালমুড়ি খেয়েছিলাম কারণ উনি সাংবিধানিক প্রধান। আমি তখন নতুন মন্ত্রী হয়েছি। উনিও রাজভবন আসছিলেন, আমাকে বললেন ছেড়ে দেবেন, তাই গাড়িতে উঠলাম। ভিক্টোরিয়ার সামনে ঝালমুড়ি খাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সে ওঁর বদলে অন্য কেউ বললেও খেতাম। এখন বাংলার প্রয়োজনে বিজেপি নেতার সঙ্গে ধোকলা খেতে হলেও খাব। 

[আরও পড়ুন: ‘ঝালমুড়ির রফা আগেই হয়েছিল’, ‘বিশ্বাসঘাতক’ বাবুল সুপ্রিয়র দলবদল নিয়ে কটাক্ষ BJP নেতৃত্বের]

Dilip-Babul

  • প্রসঙ্গ দিলীপ ঘোষ:  দিলীপবাবুকে বর্ণপরিচয় উপহার দেব। ওঁর বাংলা ভাষা শেখার দরকার আছে। ওঁকে বলব, বাংলা ভাষাকে কলঙ্কিত করবেন না। অনুপম হাজরার প্রশ্নের জবাব দেব না। 
  • প্রসঙ্গ কবীর সুমন: ”এটা ওঁর ব্যক্তিগত মত, যা ইচ্ছে হয়েছে, তাই বলেছেন। আমার ফোনে ফেসবুক, টুইটার নেই। আমি কিছু বলব না এসব নিয়ে।”
  • প্রসঙ্গ রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ: তৃণমূল কী দেবে সেটা ভবিষ্যৎ বলবে। অর্পিতা ঘোষের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার সঙ্গে আমার তৃণমূলে যোগের সম্পর্ক কেউ পেলে ভালই। আমি কিছু বলব না।
  • পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে? ২০২৪ সালে সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ যে তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। সেই তালিকায় অন্যতম সেরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে কোনও সন্দেহ আছে কি? আমি এখন যে দলে আছি, তার পুরোধাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইব সেটাই স্বাভাবিক। ২০১৪ সালে নতুন আশা জাগিয়েছিলেন মোদিজি। এখন তাঁর জনপ্রিয়তা কমেছে কিনা সাংবাদিকরা দেখুন।
  • প্রসঙ্গ নিচুতলার কর্মীরা: অভিষেক, ডেরেকের জন্য তৃণমূলে উপর থেকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে এলাম। তৃণমূলস্তরের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব।
  • প্রসঙ্গ ভবানীপুরে প্রচার: ও ( প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল) আমার বেশ কিছু মামলা লড়েছিল দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। খুব ব্রাইট। সেই জন্যই বিজেপিতে যোগ দিতে উৎসাহিত করেছিলাম। চেয়েছিলাম গেরুয়া শিবিরে যোগ দিক। যোগ দেওয়ায় খুশিও হয়েছিলাম। তাই দলকে অনুরোধ করব আমায় বিড়ম্বনায় না ফেলতে। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য মনে হয় না আমার প্রচারের প্রয়োজন আছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement