প্রতীকী ছবি।
অর্ণব আইচ: কানে ছোট্ট ব্লু-টুথ। জামার মধ্যে লুকানো মোবাইল। মোবাইলের অন্য দিক থেকে আসছে উত্তর। তা শুনে উত্তরপত্রে ‘টিক’ দিচ্ছেন পরীক্ষার্থী।
কিছুদিন আগে এভাবেই আলিপুর আদালতের পরীক্ষায় বসে ‘হাইটেক’ নকল করে ধরা পড়েন ৫০ জন পরীক্ষার্থী। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন কলেজে পরীক্ষায় বসে পরীক্ষকদের হাতে ধরা পড়ার পর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ফের এই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি শহরে। এবার ‘হাইটেক’ নকল করার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেন এক মহিলা পরীক্ষার্থীও। এ ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছে দুই যুবক। তিনজনকেই পরীক্ষকরা ধরে পূর্ব কলকাতার বেলেঘাটা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। ধৃত মহিলা ও দুই যুবক নদিয়া জেলার বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, এর আগেও যে ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যেও একটি বড় অংশ নদিয়া জেলারই বাসিন্দা ছিলেন। এই বিষয়টিও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
[ স্কুলে শিক্ষকের পরিবর্তে ‘ইন্টার্ন’ নিয়োগ, ঘাটতি কমাতে নয়া ভাবনা মুখ্যমন্ত্রীর ]
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার শহরে চলছিল ‘মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন’-এর পরীক্ষা। ‘টাইপিস্ট’-এর নিয়োগের এই পরীক্ষার সিট পড়েছিল বেলেঘাটার একটি মেয়েদের স্কুলে। সেখানে পুরুষ ও মহিলা পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে আসেন। নদিয়ার হাঁসখালির বাসিন্দা এক মহিলা পরীক্ষার্থীকে দেখে পরীক্ষকের সন্দেহ হয়। তাঁর উপর নজর রাখা হচ্ছিল। তাঁকে মহিলা পরীক্ষকরা পরীক্ষা করতেই দেখা যায়, তাঁর কানে গোঁজা রয়েছে ব্লু টুথ। জামার ভিতরে লুকানো ছিল মোবাইল। একইভাবে নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা দুই পরীক্ষার্থীর আচরণ দেখেও সন্দেহ হয় পরীক্ষকদের। দু’জনের কাছ থেকেও উদ্ধার হয় ব্লু টুথ ও মোবাইল।
তিনজনের উত্তরপত্র পরীক্ষা করা হয়। জানা গিয়েছে, উত্তরপত্র পাওয়ার পর মোবাইলে তার ছবি তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হোয়াটসঅ্যাপে। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর বাইরে থেকে ব্লু টুথের মাধ্যমে জানানো হয়। এর আগে ৫০ জন ধরা পড়ার পর একটি চক্রের সন্ধান মিলেছিল। ওই চক্রটি টাকা নিয়ে এভাবে উত্তর বলে, এমন তথ্য জানতে পেরেছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এই ক্ষেত্রেও একই চক্র কাজ করছিল কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। সাধারণত পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া বারণ। সেখানে কীভাবে ওই দুই যুবক ও এক মহিলা পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল নিয়ে ভিতরে ঢুকলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[ ২৪ সপ্তাহে গর্ভপাতের অনুমতি, ঐতিহাসিক রায় কলকাতা হাই কোর্টের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.