Advertisement
Advertisement
High Court

প্যানেলে প্রথম হয়েও ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে চাকরি পাননি প্রার্থী, ব্যবস্থার নির্দেশ হাই কোর্টের

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ই এই প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন।

High Court orders to give candidate job in English medium school according to his preference | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:December 28, 2022 10:06 am
  • Updated:December 28, 2022 10:06 am  

গোবিন্দ রায়: ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নবম-দশমে অঙ্কের শিক্ষকের জন্য সুপারিশ করা হলেও নিয়োগের জন্য পাঠানো হল বাংলা মাধ্যম স্কুলে (Bengali Medium School)! তা নিয়েই আপত্তি ছিল চাকরিপ্রার্থীর। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। মামলায়, ওই চাকরিপ্রার্থীকে দু-সপ্তাহের মধ্যে চাকরিতে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়।

মামালকারির আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, তথাগত বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৬ সালের এসএসসির নবম-দশমের পরীক্ষায় মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তাঁর কাছে ইংরাজি ও বাংলা দুই মাধ্যমের স্কুলে চাকরি করার সুযোগ ছিল। তথাগত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক পদটির জন্যই নথিভূক্ত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তাকে সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বিনামূল্যে রেশন আদপে জালিয়াতি! তোপ তৃণমূলের]

সুপারিশ পত্রে তথাগতকে উত্তর দিনাজপুরের সিট গ্রাম বিদ্যাভবন (উচ্চমাধ্যমিক) স্কুলে নিয়োগের কথা বলা হয়। পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় তথাগতর হাতে নিয়োগ পত্রও তুলে দেন। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, তিনি সংশ্লিষ্ট স্কুলে যোগদান করতে গিয়ে দেখেন সেখানে বাংলা মাধ্যমে পঠনপাঠন হয়। ইংরেজিতে নয়। শুধু তাই নয়, একাধিক বার স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দরবারে আবেদন জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। বাধ্য হয়েই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তথাগত বন্দোপাধ্যায়।

তথাগতর দাবি, যোগ্য প্রার্থী হওয়ার সত্বেও তিন বছর তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর পরে নাম থাকা প্রার্থীরা সকলেই নিয়োগ পেয়ে গিয়েছেন। সবপক্ষের কথা শুনেই চাকরিপ্রার্থীকে দু’সপ্তাহের মধ্যে চাকরিতে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়। নিজের বক্তব্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও উচ্চারণ করেন বিচারপতি। চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে অবিচার করেছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁকে তাঁর প্রাপ্য চাকরি থেকে তিন তিনটি বছর বঞ্চিত করা হয়েছে, পর্যবেক্ষণ আদালতের। 

[আরও পড়ুন: শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ, প্রশ্নের মুখে প্রায় ৫০০০ চাকরির ভবিষ্যৎ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement