সুব্রত বিশ্বাস: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, গজেন্দ্রকুমার মিত্র, নবনীতা দেবসেনের বাবা সাহিত্যিক নরেন দেব, অহীন্দ্র চৌধুরি থেকে বহু মণীষী এসেছিলেন এই ইন্সটিটিউটে। এক সময় নাটকের প্রতিযোগিতা থেকে শিক্ষামূলক চলচ্চিত্রের জন্য সরগরম হয়ে থাকতো লিলুয়া (Liluah) গীতাঞ্জলি ইন্সটিটিউট। রেলের এই ইন্সটিটিউটে রয়েছে দশ হাজারেরও বেশি পুরনো বইয়ের লাইব্রেরি (Library)। তার পিছনে স্টেজ ও হল ঘর। এখনও রেলকর্মী তিনশো সদস্যরা নিয়মিতভাবে মাসে কুড়ি টাকা করে চাঁদাও দেন। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ১৯২৭ সালে তৈরি শতাব্দী প্রাচীন এই ইন্সটিটিউটটি ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছে। পুরনো সুরকির ছাদ দিয়ে জল পড়ে নষ্ট হচ্ছে বইয়ের সম্ভার। হল ঘরটি প্রায় ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে।
গত সপ্তাহে লিলুয়াতেই ভেঙে পড়ে সিনিয়র ইন্সসিটিউটের ছাদ। হেরিটেজ ভবন এভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভেঙে পড়ায় এখন আতঙ্কে রয়েছেন রেলকর্মীরা। গীতাঞ্জলি ইন্সটিউটটিও ভেঙে পড়বে। পূর্ব রেলের মেন্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ”ইন্সটিটিউটি পরিচালন কমিটি রয়েছে। যার সভাপতি লিলুয়া ওয়ার্কশপের চিফ ওয়ার্কস ম্যানেজার। যদিও সেখানকার পরিস্থিতিতে ঢুকতেই পারেন না। সদস্যদের দেওয়া চাঁদায় কয়েকজন কর্মী রাখা হলেও তা যথেষ্ট নয়।”
মেন গেটটি আমফানে (Amphan) ভেঙে গেলেও তার সংস্কার না হওয়ায় রাতে অপরাধের স্বর্গ রাজ্য বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার। রেল প্রচীন এই ইন্সসিটিউটি রক্ষণাবেক্ষণের কোনও প্রচেষ্টাই চালাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অমিতবাবু। সম্প্রতি লিলুয়ায় একটি হেরিটেজ ইন্সটিটউট ভেঙে পড়েছে। এবার কখনও এই প্রচীন গীতাঞ্জলি ইন্সটিটউটও ভেঙে পড়বে সেই আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন কর্মীরাই। পরিচালন কমিটির সভাপতি লিলুয়া ওয়ার্কশপের সিডব্লুএম সুমিত নারুলা বলেন, ”গীতাঞ্জলি ইন্সটিটউটি খতিয়ে দেখে ফান্ডের ব্যবস্থা করা হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.